Advertisement

Responsive Advertisement

মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি ইউরোপ থেকেও রাজ্যে বরাত আসছে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির : রতন লাল নাথ


আগরতলা, ১৩ জুন : মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি হলান্ড জার্মানির মত ইউরোপের দেশগুলি থেকেও ত্রিপুরার কৃষিজাতো পণ্য রপ্তানির বরাত আসছে। এর ফলে রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীরতন লাল নাথ। 
দুবাইয়ের পর এবার ত্রিপুরার বিখ্যাত কুইন আনার পাড়ি দিল মধ্যপ্রাচ্যের আরো এক দেশ ওমানে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়ে এই কন্সাইনমেন্ট'র যাত্রা শুরু করান রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। পাশাপাশি এই সময় ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড: শরদিন্দু দাস, উদ্যান বাগিচা ফসল এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনি ভূষণ জামাতিয়া, কৃষি এবং কৃষি কল্যাণ দপ্তরের সহ অধিকর্তা রাজীব দেববর্মাসহ অন্যান্য আধিকারিকরা নর্থ-ইস্টার্ন রিজিওনাল এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেড'র(নেরামেক) ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান শঙ্কর নাথসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
আনুষ্ঠানিক যাত্রা করানোর পর মন্ত্রী রতন লাল নাত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এদিন রাজ্য থেকে মোট ৬০০ কেজি কুইন প্রজাতির আনারস ওমানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। এগুলি ট্রেনে করে আগরতলা থেকে গৌহাটি পর্যন্ত যাবে তারপর বিমানে করে সরাসরি ওমান পৌঁছে যাবে। নেরামেক এবং সিম্পেটের উদ্যোগে এবং রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সহায়তায়এই আনারস গুলো পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে দুবাইতে পাঁচ টন আনারস রপ্তানি করা হবে। হলান্ডে রেশ মেট্রিক টন আনারস রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা চলছে। সেই সঙ্গে জার্মানিতে ২০ মেট্রিক টন ধানি লঙ্কা, ব্ল্যাক রাইস ও কালিখাসা সুগন্ধি চাল ১০ মেট্রিক টন করে রপ্তানি করার বরাত এসেছে। 
এর আগে দুবাই কাতার এবং বাংলাদেশে আনারস রপ্তানি করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদেশে ৩৩মেট্রিক টন আনারস রপ্তানি করা হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন আনারস রপ্তানি করা হয়েছে। বর্তমান সময়ের রাজ্যে আনারসের মূল্য ১৫ থেকে ১৭ টাকা কিন্তু এদিন যে আনারস গুলোর রপ্তানি করা হয়েছে এগুলোর প্রতি পিস আনারস ৩২ টাকা দামে চাষিরা বিক্রি করেছেন। 
আনারসের পাশাপাশি গত কয়েক বছরের রাজ্য থেকে কাঁঠাল বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ৫ মেট্রিক টন, বেল রপ্তানি করা হয়েছে ২৫০৭ মেট্রিক টন, তেঁতুল বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ৩৯৭ মেট্রিক টন, আদাব বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ৩২ মেট্রিক টন অন্যান্য রাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে ৪২মেট্রিক টন, রাজ্যের উৎপাদিত পান ১৭ মেট্রিক টন বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। 
 মন্ত্রী আরো জানান দেশ-বিদেশে আনারসের চাহিদার কথা চিন্তা করে গত সাড়ে পাঁচ বছরের রাজ্যে নতুন করে ৫ হাজার ৬৫৪ হেক্টর জমিতে আনারস লাগানো হয়েছে। পূর্বতন সরকারের সময় রাজ্যে মাত্র ৫৯৫ হেক্টর জমিতে আনারস বাগান তৈরি করা হয়েছে। নতুন করে কাঁঠাল বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ৪৫০ হেক্টর জমিতে, নতুন করে লেবু বাগান গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৭০০হেক্টর জমিতে, কলাবাগান গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৬০০ হেক্টর, নতুন করে আম বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ৭০৩ হেক্টর, মসাম্বি লেবু বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ২৯৫ হেক্টর জমিতে। নতুন করে কমলা বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ১৯৯ হেক্টর জমিতে। ড্রাগন বাগান গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে। নতুন করে সুপারি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ৪,৭২২ হেক্টর জমিতে। নতুন করে নারিকেল বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ৬০৭ হেক্টর জমিতে। কাজুবাদাম বাগান গড়ে তোলা হয়েছে ৬৬ হেক্টর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ