Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপুরার কাঁঠালের বিরিয়ানি রাসনা তৃপ্তি করছে দেশের স্টার হোটেলের ভূজন রসিকদের


আগরতলা, ২৬ জুন: বিরিয়ানি মানেই তাতে থাকবে মঠন বা চিকেন, কিন্তু চিরাচরিত এই ধারণা আমূল বদলে দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের সুস্বাদু কাঁঠাল।  এক পাঁচ তারা হোটেলের মাস্টার সেফ কাঁঠাল দিয়ে তৈরী করছেন সুস্বাদু বিরিয়ানি আর এই বিরিয়ানি খেতে মানুষের ভিড়। হঠাৎ করে শুনলে একে আজব গল্প মনে হতেই পারে তবে এটা গল্প নয় ১০০শতাংশ সত্যি। সম্প্রতি ইন্দুরে কৃষি জাতক পণ্যের ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আনারস কাঁঠাল সুগন্ধি গন্ধরাজ লেবু কালিখাসা চাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী। তখন সেখানে একজন মাস্টার সেফ কাঁঠাল দিয়ে বিরিয়ানি তৈরি করেন। যা খেতে ভিড় জমিয়ে ছিলেন মানুষ। এমনকি রাজ্যের সুগন্ধি গন্ধরাজ লেবুও সকলের মন জয় করেছেন বলে বুধবার মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। 
সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। কৃষিতে স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে রাজ্যের স্বনির্ভরতার বিরাট সুযোগ রয়েছে। কৃষকদের উন্নতিকল্পে রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত কৃষকদের পাশে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পূরণেও বর্তমান সরকার সচেষ্ট। সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রী জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যের ৮১ হাজার ৩০১ জন কৃষককে ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকদের এসডিআরএফ প্রকল্পে ও প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় সহায়তা প্রদান করা হয়। তিনি জানান, গত ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ঘূর্ণিঝড় মিধিলার প্রভাবে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হয়। এরফলে রাজ্যের ২৩ হাজার ১৭১ হেক্টর জমির ফল নষ্ট হয়। ৫৮ হাজার ২১০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হন। ক্ষতিগ্রস্থ এই কৃষকদের এস ডি আর এফ প্রকল্পে ১৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা প্রদানের জন্য কৃষি দপ্তরকে মঞ্জুর করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের হেক্টর প্রতি ৮ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। তাছাড়াও উদ্যানপালন দপ্তরের অধীনে ক্ষতিগ্রস্থ ২০ হাজার ৭৮ জন কৃষককে এসডিআরএফ প্রকল্পে ৭ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় ৮৭৪ জন কৃষককে ৪৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রী জানান, ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ রাজ্যে অসময়ে বৃষ্টির কারণে রাজ্যের কৃষকগণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এমন ২ হাজার ১৩৯ জন কৃষককে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় ৬৯ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সহায়তা করা হবে। তিনি আরও জানান, গত ২৮ মে, ২০২৪ রাজ্যের অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দপ্তর থেকে এস ডি আর এফ প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। তিনি জানান, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ইতিমধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলনে রাজ্যের উৎপাদিত কৃষি ফসলের চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। রাজ্যেও এরকম সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও রাজ্য থেকে আজ কিউ-প্রজাতির ৩০ টন আনারস ব্যাঙ্গালোরে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী দপ্তরে শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই ৫৯ জন কৃষি আধিকারিক (গ্রেড-১) টিপিএসসি-র মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণনীতি মেনে ২১ জন মহিলাও নির্বাচিত হয়েছেন। শীঘ্রই তাদের মধ্যে অফার বণ্টন করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ