আগরতলা, ৩০ জুলাই: ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে পুর এলাকায় প্লাস্টিক আবর্জনার মূল্যায়ন ও তার বৈশিষ্ট বিষয়ে আজ এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের জোনাল অফিসার, সেনিটারি অফিসার ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব তথা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কে শশীকুমার এবং পর্ষদের সদস্য সচিব ড. বিশু কর্মকার, ত্রিপুরা বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অধিকর্তা মহেন্দ্র সিং সহ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় আধিকারিকগণ এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রীর ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞার সঠিক বাস্তবায়ণে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উপকরণগুলির উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিতরণ, বিক্রয় এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। এইজাতীয় দ্রব্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ (১২০ মাইক্রনের কম পুরুত্ব), প্লাস্টিকের কাঠি সহ ইয়ারবাড, বেলুনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কাঠি, প্লাস্টিকের পতাকা, চকলেটে ব্যবহৃত কাঠি, আইসক্রিমের কাঠি, সাজসরঞ্জামের জন্য থার্মোকল, প্লেট, কাপ, গ্লাস, কাটলারি যেমন কাঁটা চামচ, ছুরি, আমন্ত্রণপত্রে ও সিগারেটের প্যাকেট মোড়ানোর ফিল্ম বা প্যাকিং ফিল্ম ইত্যাদি। রাজ্য সরকারও উপরিউক্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাছাড়া আইন অমান্যকারীদের জন্য আর্থিক জরিমানার আদেশও জারি করেছে।
তাছাড়াও কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ণের ক্ষেত্রে এসইউপি কমপ্লায়েন্স মনিটরিং পোর্টালের (SUP Compliance Monitoring Portal) গুরুত্ব এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। তাছাড়া কর্মশালায় বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্যের মূল্যায়ন এবং এর বৈশিষ্টের উপরও একটি উপস্থাপনা রাখা হয়। কর্মশালায় আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সমস্ত আধিকারকদের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের পুরুত্ব পরিমাপের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ