Advertisement

Responsive Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বামেদের চার দফা দাবি সনদ পেশ

আগরতলা, ১৩ জুলাই : পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, তাদের বাড়ির ঘরে যেয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। 
 শনিবার রাজধানী আগরতলার মেলার মাঠ এলাকার দলের রাজ্য কমিটির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তিনি আরো জানান শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বর্তমানে বিভিন্ন ব্লক অফিসে অবস্থান করতে যাতে করে বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র তুলতে এবং জমা দিতে না পারে। এই অবস্থার পরেও যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, বিরোধীদলের এই সকল সদস্যদের বাড়িঘরে গিয়ে গুয়বৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। এমনকি এই সকল ঘটনা পুলিশের সামনে সংঘটিত হচ্ছে কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে করছে। 
 এই পরিস্থিতিতে শনিবার বামফ্রন্টের তরফে এক প্রতিনিধি দল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে চারদফার দাবি সনদ পেশ করেন। এই দাবি সনদে তারা উল্লেখ করেছেন ব্লক গুলি থেকে অবাঞ্চিত লোকেদের সরানোর ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, ব্লকের চারপাশে নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও দুষ্কৃতীরা এক দুই কিলোমিটার দূরে থেকেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে ব্লকে আসতে দিচ্ছেন না তাই বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মনোনয়ন দিতে পারেন তার বন্দোবস্ত করতে হবে। অনলাইনে মনোনয়ন তোলা এবং জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা এবং অবাক এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিতে হবে নির্বাচন দপ্তরকে। 
 এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পবিত্র কর। তিনি বলেন বিরোধীদের মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়ার কারণ হচ্ছে শাসক দলের অভ্যন্তরে গুষ্টি কোন্দল। একটি পদে দাঁড়ানোর জন্য শাসকদলের একাধিক গুষ্টি নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। এই পরিস্থিতিতে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীরা বিরোধী প্রার্থীদের জয়ী করে নিতে পারেন এই ভয় থেকে তারা সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যাতে করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার করতেই না হয় এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীরা যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারে। পরিস্থিতির তিনি তীব্র নিন্দা জানান। অবিলম্বে এসব বন্ধ করার দাবিও জানান তিনি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ