আগরতলা, ২৯ জুলাই : মুখ্যমন্ত্রী সুসংহত শস্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে সোমবার সিপাহীজলা অন্তর্গত একাধিক জায়গায় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার প্রভারী তথা রাজধানী আগরতলার এডি নগর এলাকার রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম অধিকর্তা ডঃ উত্তম সাহা। কর্মসূচিতে ঘিরে টাকারজলা গাবর্দি আশেপাশের নানা এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। লাইনে ধান গাছ, গুছায় একটি বা দুটি করে তথা ২০দিনের মধ্যে চারা লাগানো, সবকিছু নিয়ে সোমবার জম্পুইজলা সেক্টরের প্রভাপুর এবং হরি কান্ত পাড়ায় প্রশিক্ষণ ও চারা রোপন কর্মসূচি একটি উৎসবে পরিণত হয়।
ড. উত্তম সাহার নেতৃত্বে স্থানীয় কৃষি তত্ত্বাবধায়ক স্বপন দেববর্মা, নোডাল অফিসার শোভাশীষ দাস কৃষি সেক্টরের আধিকারিক জম্পুইজলা টাকারজলা এটিএম বিটিবি এবং অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়ে একটি বিশেষ দল সিদ্দিক মিয়া, শোভারাম দেববর্মা, বিনু দেববর্মা বিজয় দেববর্মা মামুন মিয়া দিলীপ দেববর্মা মাঠে নিজ হাতে দুটি করে চারা গাছ লাগিয়ে কমিউনিটি ট্রান্সপ্লান্টিং এর উদ্বোধন করেন। এলাকার সমস্ত কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়া। প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এদিন এই কর্মসূচি করা হয়। তারপর বিশেষজ্ঞ এই দলটি বৃন্দা দেববর্মার মাঠে হাইব্রিড ধান লাগানোর সময় উপস্থিত ছিলেন।
লিলি দেববর্মা, বুধুলক্ষ্মী দেববর্মা এদের মাঠ ছিল গাবর্দি এলাকায়। আগামী মৌসুমে কৃষকরা ট্রান্সপ্লান্টিং এর জন্য আবেদন করেন। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর আগামী দিনে যান্ত্রিকতাকরণ করে এই সকল জনজাতি এলাকায় ধান চাষের আরো ব্যাপক উৎসাহ বৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর। গাবর্দি এলাকায় প্রায় ৩হেক্টর জমিতে এসআরআই পদ্ধতিতে চাষবাসের উদাহরণ স্বরূপ।
টাকারজলা, জম্পুইজলা, গাবর্দি সফর শেষে এক আলোচনাচক্র'র আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা চক্রের স্থানীয় কৃষক কর্মচারী বৃদ্ধ সবাইকে ড: উত্তম সাহা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং গত বছরের তুলনায় এবছর জনজাতি এলাকাগুলোতে মুখ্যমন্ত্রী সুসংহত শস্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সফলতার হার অনেক বেশি আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। কৃষকরাও খুব আনন্দিত এবং উচ্চশিত কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের এই বিরাট আয়োজনে।
0 মন্তব্যসমূহ