Advertisement

Responsive Advertisement

ভারতীয় হাই কমিশন ও BSF- র সহযোগিতায় বাংলাদেশে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরছে


আগরতলা, ২০ জুলাই : বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ফলে সে দেশে এখন অস্থির পরিস্থিতি চলছে। দেশে কারফিউ জারি রয়েছে। স্কুল কলেজ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সে দেশের নানা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে যায়। বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতির ফলে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা সমস্যার মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় থাকা ভারতীয় সরকারি হাই কমিশন। ভারতীয় হাই কমিশন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে যে সকল ভারতীয় ছাত্রছাত্রী এবং কাজের সূত্রে রয়েছেন তারা যেন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হন। জরুরী পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে ইন্টারনেট সহ নানা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। এর ফলে ভারতের যে সকল ছাত্র-ছাত্রী সে দেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছেন তারা যেমন একদিকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পাশাপাশি তাদের পরিবারের পরিজনরাও চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় হাই কমিশনের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আখাউড়া সীমান্ত সহ অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রছাত্রীরা ভারতে আসছেন। শুক্রবার থেকে ছাত্রছাত্রীদের আসা শুরু হয়েছে শনিবারও আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে প্রচুর ছাত্র ছাত্রীরা দেশে ফিরে আসেন। এদিন আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা আসেন তাদেরকে বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। সীমান্তের ভারতীয় ভূখণ্ডে পৌঁছলে বিএসএফের তরফে তাদেরকে হালকা টিফিন এবং জল খাওয়ার দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা সংবাদ মাধ্যমকে জানায় বাংলাদেশের ভারতীয় হাই কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং বিএসএফ তাদেরকে সহায়তা করেছে। এইজন্য তারা সকলকে ধন্যবাদ জানান। এদিকে বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সর ডিআইজি রাজীব অগ্নিহোত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানান আখাউড়া সহ রাজ্যের অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে দুই দিনে প্রায় দেশ স্বজনের বেশি ভারতীয় ছাত্র ছাত্রী নিজ দেশে ফিরে এসেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ