আগরতলা, ১৪ আগস্ট: দেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গিকার নিতে হবে। এর পাশাপাশি দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় করতে হবে। জাতি, জনজাতি ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে। হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ও দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার জন্য যারা বলিদান দিয়েছেন তাঁদের সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্পন করা।
৭৮তম স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে বুধবার খোয়াই জেলার রামচন্দ্রঘাটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা নিয়ে এক বিশাল র্যালি রামচন্দ্রঘাট চৌমুহনী থেকে শুরু করে বটতলি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসে জড়ো হয়। স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তিরঙ্গা যাত্রার মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমরা সবাই জানি ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয়। এরপর থেকে প্রত্যেক বছর আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছি। কিন্তু যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান রাখেন। এর অর্থ হচ্ছে দেশের স্বাধীনতার জন্য এবং দেশের সুরক্ষা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় যারা নিজেদের বলিদান দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করার জন্য প্রতি ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্যেও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির সফল রূপায়ণ করা হয়। ২০২৩ এও আমরা এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করি। যথারীতি এবছরও সেই ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মুখ্যমন্ত্রীদের কনক্লেভেও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির উপর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
0 মন্তব্যসমূহ