Advertisement

Responsive Advertisement

স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে সামিল মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১২ আগস্ট: দেশের প্রতি রাষ্ট্রবাদী চিন্তাভাবনা ও দেশাত্মবোধের ভাবনাকে জাগ্রত করাই হচ্ছে হর ঘর তিরঙ্গার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। দেশের স্বাধীনতার জন্য ও পরবর্তী সময়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য যারা বলিদান দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 
                                 দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি মন্ডলের উদ্যোগে সোমবার আগরতলায় আয়োজিত স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                              সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। যেখানে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট ৩ দিনের কার্যক্রম রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রীর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা দেশের জন্য ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে বলিদান দিয়েছেন তাঁদের সম্মান করা। হর ঘর তিরঙ্গা মানে প্রতিটি ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা। সমস্ত স্কুল, কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা। সামাজিক সংস্থাগুলিকেও এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা দেশকে স্বাধীন করার জন্য ও পরবর্তী সময়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য বলিদান দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় আমরাও সেই কর্মসূচি পালন করে আসছি। ২০২৩ এও সেই কর্মসূচি পালন করি। এবার ২০২৪ এও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। সরকারিভাবেও নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ আগরতলায় স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচি করা হয়েছে। সারা রাজ্যেই এধরণের কর্মসূচির আয়োজন রাখা হয়েছে। 
                                     মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, হর ঘর তিরঙ্গার অংশ হিসেবে সাইক্লিং, পদযাত্রা সহ ইত্যাদি কর্মসূচি করা হবে। এছাড়া দেশ ভাগের পরবর্তী বিভীষিকা নিয়েও কার্যক্রম করা হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। আর ১৫ আগস্ট দিনে সমস্ত জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয়ভাবেও নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের প্রতি যে ভাবনা অর্থাৎ রাষ্ট্রবাদী চিন্তাভাবনা ও দেশাত্মবোধের ভাবনাকে জাগ্রত করাই হচ্ছে হর ঘর তিরঙ্গার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। 
                             এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, পুর কর্পোরেটর রত্না দত্ত, মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সাফাই অভিযানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ