আগরতলা, ১৩ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ এক উঁচু মাত্রায় পৌঁছেছে। ত্রিপুরা সরকারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় রাজ্যকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ক্রীড়া সহ সব ক্ষেত্রকে উন্নত করে ত্রিপুরার সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এবারও হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার আহ্বান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর অর্থ হচ্ছে দেশের জন্য যারা বলিদান দিয়েছেন তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করা।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে আগরতলার উমাকান্ত মাঠে আয়োজিত তিরঙ্গা যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালনের মানে হচ্ছে মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধক চিন্তাভাবনা জাগ্রত করা। দেশ সবকিছুর আগে। তারপর অন্যকিছু। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার তরফে নানা কর্মসূচি করা হচ্ছে। হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ তিরঙ্গা হাতে নিয়ে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিক, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সামিল হয়েছেন। সারা রাজ্যে বিভিন্ন মহকুমা, জেলা সহ সব জায়গাতেই এধরণের কর্মসূচি করা হচ্ছে। এজন্য রাজ্যবাসী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ডাঃ সাহা। ২০২২ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যা এবছরও অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি সফল করার জন্য বিভিন্ন স্তরে আলাপ আলোচনা হয়েছে। ২০২২ এর আগেও আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আহ্বান রাখলেন যে প্রতিটি ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। এজন্য ত্রিপুরা সরকারও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। ২০২২ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ত্রিপুরায় ৮.৫ লক্ষ বাড়িঘর রয়েছে। সেই অনুপাতে বিভিন্ন সাইজের জাতীয় পতাকা তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। আর সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্যের মানুষ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিকে সফল করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখনই যে আহ্বান করেন সাধারণ মানুষ সেটা পালন করেন ও অনুসরণ করেন। যেমন - ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কা নাম কর্মসূচিও সফল হয়েছে। এই কর্মসূচিতে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখা রাজ্যের বিশেষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মেরি মাটি মেরি দেশ। এরআগেও আমরা অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। কিন্তু এভাবে মাটি সম্পর্কে কোন প্রধানমন্ত্রীর এমন আবেগ প্রত্যক্ষ করি নি। এর অংশ হিসেবে সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাটি সংগ্রহ করে আনা হয়। পরবর্তী সময়ে সেই সংগৃহীত মাটি কলস ভর্তি করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যে দেশাত্মবোধক ভাবনা একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব। এর পাশাপাশি দেশ ও রাজ্যকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিতে হবে আমাদের।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী সহ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকগণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ তিরঙ্গা হাতে নিয়ে রাজধানী শহরে বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় সামিল হন। শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিক্রমা করে এই পদযাত্রা। এই লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচিতে শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষক শিক্ষিকা, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা যোগদান করেন।
0 মন্তব্যসমূহ