Advertisement

Responsive Advertisement

বটতলা বি আর আম্বেদকর স্কুলের অস্থায়ী শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বটতলা বি আর আম্বেদকর স্কুলের অস্থায়ী শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা, ২২ আগস্ট: বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। রাজ্য সরকার বা আগরতলা পুর নিগম বা নগর পঞ্চায়েত কেউ একা এই উদ্ভুত সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। সরকারের পাশে থাকতে হবে সবাইকে। জেলাশাসকগণ খুব ভালো কাজ করছেন। এর পাশাপাশি সচিব থেকে শুরু করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সহ প্রত্যেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। 
                          বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগরতলার বটতলা বি আর আম্বেদকর স্কুলের অস্থায়ী শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি সেখানে বন্যায় বিপন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কোন অসুবিধা আছে কিনা সেবিষয়ে বিশদ খোঁজখবর নেন এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 
                            রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই গোটা বিষয়টির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট করেছেন। এরমধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও কথা বলেছেন। বন্যায় বিপন্ন লোকজনকে উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেলিকপ্টার, বোট, এনডিআরএফের অতিরিক্ত বাহিনী ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সহ এনডিআরএফের টিম পাঠানো হয়। 
                          আর এদিন সন্ধ্যায় উদ্বাস্তু শিবির ঘুরে দেখে সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, বন্যা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। আমি সবাইকে বলবো যাতে সরকারকে সহযোগিতা করা হয়। পুর নিগমের মেয়র কোলকাতায় ছিলেন। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলায় তিনি দ্রুত এসে পড়েন। তিনি চলে আসায় কাজে আরো গতি আসবে। সব জায়গাতেই আমি যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের চাহিদা মতো সবকিছু পাঠিয়েছেন। আগামীকাল আবহাওয়া ভালো থাকলে হেলিকপ্টারে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে যাবো। 
                          মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা কি কি করছি আপনারা জানেন। কোন জায়গায় কি অসুবিধা সেটা দেখা হচ্ছে। আজ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর মনিটরিং করে যাচ্ছি। আমাদের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টই করতে হবে। এবিষয়ে আগাম কিছু বলা যায় না। আগামীকালের দিনটা গেলেই হয়তো পরিস্থিতি আরো ভালো হতে পারে। ডাঃ সাহা জানান, ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকাতেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুবই সদর্থক হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা মতো সবকিছু পাঠিয়েছেন। আজও বিমান যোগে আরো বেশকিছু সাজসরঞ্জাম এসে পৌঁছুবে। অমরপুরের অবস্থা একটু সংকটজনক রয়েছে। সেখানে হেলিকপ্টারে টিম যাচ্ছে। খাবার সামগ্রীও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যায় যারা ছাদের উপর রয়েছেন তাদের এয়ার লিফটিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। সাধারণ মানুষও হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। প্রশাসনের পাশাপাশি কাউন্সিলার থেকে শুরু করে দলের কার্যকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। 
                             মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে দায়দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গোমতী জেলায় একজন ডিএমকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। যাতে ভালোভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। বিশেষ করে অমরপুর ও করবুক মহকুমায় দ্রুত কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন সেটা নজরে রেখেই কাজ করা হচ্ছে। পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ