Advertisement

Responsive Advertisement

নির্বাচিত কর্পোরেটরের নামে কুৎসা রটিয়ে তাকে ক্ষমতারচ্যুত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ

আগরতলা, ২৪ আগস্ট : আগরতলা পুর নিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর সান্তনা সাহাকে নানা অপবাদ দিয়ে পদত্যাগ করানোর জন্য একাংশ স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ জানালেন সান্তনা সাহা নিজে। এই স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী তাদের চক্রান্তকে কার্যকর করার জন্য বন্যার মত একটি কঠিন সময়কে বেছে নিয়েছে বলেও তার অভিযোগ। এই ষড়যন্ত্রের মূল মুল কান্ডাবি পায়েল দাস, শংকরী সাহা নামে এক মহিলা এবং তাদের সঙ্গে একটি গোষ্ঠী। সান্তনা সাহা অভিযোগ করে বললেন পায়েল দাসের ভাই রাধানগর ১ নম্বর আবাসন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নেশা সামগ্রী বিক্রি করে বলে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করছিলেন। এই নেশা বিক্রেতার কারণে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আহব্বানে সারা দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নেশা কার বাড়িতে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সহায়তা করেছিলেন। এরপর থেকেই পায়েল দাস তার সঙ্গে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে এমনকি তাকে কর্পোরেটর পর থেকে সরিয়ে দেবে বলে ও প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 
অপরদিকে শংকরী সাহা সম্পর্কে সান্তনা সাহার অভিযোগ, মহিলাকে ওয়ার্ডের কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করার ঠিকেদারির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু শংকরী সাহা অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করে। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে তিনি শংকরী সাহাকে আর কোন কাজ দেননি তারপরই শংকরী সাহা চক্রান্তে জড়িত হয়ে পড়ে এবং সান্তনা সাহার বিরুদ্ধে কুৎসা ঘটাতে থাকে। পাশাপাশি শংকরী সাহার মেয়েকে ওয়ার্ড অফিসে একটি অনিয়মিত পদে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সান্তনা সাহা। কিন্তু মেয়েটি তার মর্জি মতো অফিসে আসতো। ইচ্ছে হলে অফিসে আসতো ইচ্ছে না হলে অফিসে আসতো না। যার ফলে অফিসের কাজকর্ম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নানা অসুবিধা হচ্ছিল। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে মেয়েটিকে কাজ থেকে বরখাস্ত করে অন্য আরও একজনকে কাজে লাগানো হয়। এই ঘটনাতেও শংকরী সাহা প্রচন্ডভাবে ক্ষেপে যায়। এরপর থেকে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এক জোট হয়ে কর্পোরেটরের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে যার সফল নাট্যরূপ দ্বারা বন্যা কবলিত সময়ে শুক্রবার সফলভাবে মঞ্চস্থ করতে সক্ষম হয়। 
তাছাড়া শংকরীর নামে পাড়ায় বহু অভিযোগ রয়েছে। পাড়া সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই মহিলা অনেকাংশের দায়ী গভীর রাত পর্যন্ত মহিলার ঘরে নানা ধরনের কাজকর্মের আসর বয়সে বলেও একাংশ মানুষের অভিযোগ। কেউ কিছু বলতে গেলেই শাসক দলের নেত্রী পরিচয় দিয়ে হম্বিতম্বি করে যার ফলে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে ভয় পান বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ