আগরতলা, ৯ আগস্ট : হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্রিপুরা শাখা। শুক্রবার আগরতলা প্রেসক্লাবে সংগঠনের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রচার প্রশার প্রমুখ সৌরভ কান্তি দাস বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ অনিশ্চিয়তা, হিংসা এবং অরাজকতার মধ্যে ফেঁসে আছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগপত্র এবং তার দেশ ছাড়ার পর অর্ন্তবতী সরকার গঠিত হয়েছে। সংকটের এই সময় ভারতবর্ষ দৃঢ়তার সাথে বাংলাদেশের সমস্ত সমাজের পাশে এক বন্ধুর ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।এদিন তিনি আরও বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত কিছু দিন ধরে বাংলাদেশে হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ধার্মিক স্থান, ব্যবসা-বানিজ্যের প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এমনকি, পঞ্চগড় জেলায় ২২টি বাড়ি, ঝিনেদাহতে ২০টি বাড়ি ও জসোরে ২২টি দোকান মৌলবাদীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছারা, অনেক জেলায় তো শ্বশানঘাট পর্যন্ত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। মন্দির এবং গুরুদ্বারগুলির ও ক্ষতি করা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোন জেলাই হয়তো নেই যা তাদের হিংসা ও আতঙ্কের শিকার হয়নি। প্রতিনিয়ত তাঁরা মৌলবাদীদের উৎপীড়নের স্বীকার হচ্ছেন। তাই এরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্রিপুরা শাখা। তাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার ব্যাপারে যথাসম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার হোক বলে দাবী করেন।
0 মন্তব্যসমূহ