আগরতলা, ১১আগস্ট: পশ্চিম জেলার মতিনগর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে এখনো যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক বসবাস করছে তাদেরকে কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে চলে আসার আহ্বান রাখলেন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার। তিনি নিজে মতিনগর এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে গিয়ে সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাসরত বসবাসরত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
ছাত্র আন্দোলনের নাম করে বাংলাদেশের বিরোধী কট্টর মৌলবাদী দল সে দেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতারচ্যুত করে দেশান্তরিত করার পর এখন চলছে চরম অরাজকতা। সদ্য ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ দলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ লুটপাট এবং খুনের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই চলছে। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছেন সে দেশে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু অংশের মানুষ। প্রতিদিনই সংখ্যালঘুর বাড়িঘরে আক্রমণ ও লুটপাট চলছে, সংখ্যালঘু নারীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে কট্টরপন্ত্রী মৌলবাদীরা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই উত্তেজনার জের প্রভাবিত করছে ত্রিপুরা রাজ্যকেও। কারণ ত্রিপুরা রাজ্যের আশি শতাংশ এলাকায় জুড়েই বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা ঘেরা। অস্থির পরিস্থিতির ফলে অনেকেই ত্রিপুরায় পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফকে বিশেষভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার মতিনগর সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে এখনো প্রায় সত্তর পরিবারের বেশি মানুষ বসবাস করছেন। বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে কাঁটাতারের বাইরে বসবাস করত মানুষ কেমন রয়েছে তার সাথে জমিনে খতিয়ে দেখতে পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার। তিনি নিজে মতিনগর সীমান্তে যান এবং বিএসএফ আধিকার স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে যারা বসবাস করছে তাদের কাছে যান এবং কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে, তারা যদি কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে চলে আসে চায় তাহলে সরকারিভাবে সহায়তা করার আশ্বাস দেন। বর্তমানে কেমন পরিস্থিতি রয়েছে তা জানার চেষ্টা করেন তিনি। সেই সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে নো ম্যানস ল্যান্ডে যারা বসবাস করছে তাদেরকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্থায়ী ভাবে কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরে চলে আসার আহ্বান রাখেন।
পরে সংবাদ মাধ্যমকে জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার জানান বাংলাদেশে যে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এর ফলে রাজ্যের সীমান্ত এলাকাতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে নো মেনস ল্যান্ডে যারা বসবাস করছেন তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন এবং কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে বসবাস হচ্ছে মানুষদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন তারা যেন ভেড়ার ভিতরের অংশেচলে আসে। কাঁটাতারের বাইরে বসবাসরত মানুষ যাদের জমি বেড়ার ভিতরের অংশে নেই তাদেরকে সরকারি বাপের জমি এবং বসত ঘর বানিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ