আগরতলা, ১১ আগস্ট: রাজ্যের বর্তমান সরকার মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত দিশায় সকল অংশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে এই সরকার।
রবিবার রাণীরবাজারে নবনির্মিত শ্রী কুম্ভকালী মন্দিরের শুভ উদ্বোধন, বিশ্বশান্তি যজ্ঞ ও রক্তদান শিবিরে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ত্রিপুরা চাক্কি মিল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এখানে মন্দির তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকার সকল অংশের মানুষের প্রচেষ্টায় এই মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে। এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে ভগবান ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়। যে যেখানেই থাকি, যা করি আসলে ঈশ্বরই সব করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মন্দির এলাকা আরো প্রসারিত করা যায় কিনা সেই দাবি রাখা হয়েছে। যাতে বড় পরিসরে আগামীতে এখানে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিষয়টি জানতে পারলে খুশি হবেন। তাই উত্থাপিত দাবি নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আরো বলেন, মন্দির এমন একটা জায়গা যেখানে মানুষ মানুষকে চিনতে পারে। আজকে এখানে রক্তদান শিবিরও করা হচ্ছে। রক্ত দেওয়া নেওয়ার সময়ে মানুষের মধ্যে একটা ঐশ্বরিক চিন্তাভাবনা চলে আসে। তখন মনে হয় এই যে রক্ত দিচ্ছি সেটা কোন ভেদাভেদ ছাড়া কার কাছে যাবে। যিনি রক্ত দিচ্ছেন তিনিও জানেন না এই রক্ত কার কাছে যাবে। আর যিনি রক্ত নিচ্ছেন তিনিও জানেন না এটা কার রক্ত। কারণ রক্তই একমাত্র ধর্ম যেটা মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সবাই এক। আমরা সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করি। স্বামী বিবেকানন্দ চিকাগোতে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বলেছিলেন। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা সব ধর্মকে সম্মান করেন। ডাঃ সাহা বলেন, এই সরকার মানুষের জন্য কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার বলছেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস, সবকা বিশ্বাসের কথা। তিনি ধর্মীয় স্থানগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে ভারতবর্ষকে এক উঁচু মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। জি - ২০ সম্মেলনে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা কিভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়েছেন সেটা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এখন ভারতকে অন্য নজরে দেখা হয়। অনেকে আবার ঈর্ষাও করে থাকে। ভারতকে কিভাবে খাটো বা দুর্বল করা যায় এনিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করে থাকে। কিন্তু এই দেশকে কোনভাবে দুর্বল করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ যে মন্দির উদ্বোধন হয়েছে সেটা নিজের মনে করে রক্ষনাবেক্ষণ করবেন।
এই মহতী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। এছাড়া বিভিন্ন রাজ্য থেকে সাধু-সন্ত মহারাজগণ অংশগ্রহণ করেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শ্রী কুম্ভকালী মন্দির পরিসরে বৃক্ষরোপন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
0 মন্তব্যসমূহ