আগরতলা, ১৮ আগস্ট : রক্তের কোন ধর্ম হয় না, সকলের রক্ত সমান। ঠিক একই ভাবে রাজ্যে হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান সহ অন্যান্য জাতির ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসাররা মিলে সমাজের জন্য কাজ করছেন। তাদের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবির তাই ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যর বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরছে। রবিবার ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মেগা রক্তদান শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা।
ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আগরতলায় মেগা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। খেজুর বাগান এলাকার রাজ্য অতিথিশালা সোনারতরীতে আয়োজিত এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, মুখ্যবনপাল এ এন কনফারে।
শিবিরের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা বলেন, অফিসারদের এই ধরনের কাজের ফলে সমাজে একটি ভালো বার্তা যাবে। যাতে অন্যান্যরাও এ ধরনের সামাজিক কর্মসূচিতে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন, রক্তের কোন ধর্ম নেই। এখানে সব ধর্মের আধিকারিকরা এসেছেন এবং রক্ত দিচ্ছেন। এর ফলে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বিষয়টি ফুটে উঠে। এই কাজের জন্য আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা বলেন, শ্যামলী বাজারের কোয়ার্টার কমপ্লেক্সের ছোট্ট একটি কোয়াটারের মধ্য থেকে তাদের কার্যসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এই কাজে আধিকারিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্য সদস্যাও বিশেষ করে মহিলা সদস্যদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা নিজেরা নিজেদের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলে স্ব সহায়ক দলের মহিলা, সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন মানুষদের সহযোগিতা করছেন। তাই তাদেরকেও তিনি ধন্যবাদ জানান।
পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা বিশাল কুমার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অফিসার্স ইনস্টিটিউটের সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এক পরিবারের মত বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। আগামী দিনেও তারা এভাবে কাজ কম করতে চান।
এদিন শিবিরে ৭০জনের বেশী রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। পশ্চিম জেলার জেলা শাসক এবং অতিরিক্ত জেলা শাসক নিজেরাও স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও শামিল হয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে। গোটা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক হিমাংশু কুমার এবং ডা সাথী চৌধুরী।
0 মন্তব্যসমূহ