Advertisement

Responsive Advertisement

পশ্চিম জেলা ভিত্তিক " এক পেড় মাকে নাম" এবং "গৃহপ্রবেশ" কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

আগরতলা, ১৭সেপ্টেম্বর : মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পশ্চিম জেলা ভিত্তিক " এক পেড় মাকে নাম" এবং "গৃহপ্রবেশ" কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো। পশ্চিম জেলার অন্তর্গত বামুটিয়া ব্লক অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব ড সন্দীপ আর রাঠুর, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমার, অতিরিক্ত জেলা শাসক হিমাংশু মঙ্গল, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক কুমার সিংহ, বামুটিয়া ব্লকের ভিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য। 
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর বেড়িমুড়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্বোধনী সংগীত ও সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন। 
 অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ের নামে একটি গাছ লাগানোর আহ্বান রেখেছিলেন। বনদপ্তর প্রতিবছর বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আয়োজন করে। কিন্তু এখন যেভাবে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার এ ধরনের সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি করছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে এনিয়ে রাজনীতি হতো। এখন মানুষ করছে তা না দেখে দল-মত নির্বিশেষে সকলের জন্য ঘরের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে যাতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ ঘর পায় তার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এদিন আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। তাই সকলে যেন প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে এই আহ্বান রাখেন। 
 অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব সন্দীপ আর রাঠুর বলেন, এক পেড় মা কি নাম কর্মসূচিতে কি বোঝা যায় এর গুরুত্ব কতটুকু। আরো বলেন গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর সারাবছর সবচেয়ে বেশি কাজ মানুষের জন্য করে। তাই এই কাজের জন্য গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন সঠিকভাবে গ্রাম সভা করে সঠিক লোক নির্বাচন করা হলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাবেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম প্রকল্প ১. ০ ইতিমধ্যে রাজ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ২. ০ প্রকল্পটি খুব দ্রুত রাজ্যও চালু হবে। 
 আলোচনা পর্ব শেষে উপস্থিত অতিথিরা ব্লক অফিস প্রাঙ্গণে এক এক করে গাছের চারা রোপন করেন। এরপর ব্লকের অন্তর্গত একাধিক জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যারা ঘর পেয়েছেন তাদের ঘরের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে অতিথিরা উপস্থিত হন। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ