Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা উন্নয়নের মেরুদণ্ড: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১২ সেপ্টেম্বর: ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত একটি দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের কোন প্রকল্প বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পঞ্চায়েত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পঞ্চায়েত আমাদের প্রধান ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। 
                 বৃহস্পতিবার আগরতলার টাউন হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমি সম্প্রতি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাত করি। সেখানে আমার সরকার ওয়েব পোর্টালের উপর একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করি, যেটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সদস্য এবং আধিকারিকগণ বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় যান এবং প্রতি সোমবার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসকল সমস্যা নিরসনের জন্য অনলাইনে আপলোড করার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়। পঞ্চায়েত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ব্যবস্থার জন্য আমরা প্রশংসিত হয়েছি। বর্তমানে আমাদের ১১৬টি জিলা পরিষদ, ৪২৩টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৬,৩৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমাদের সরকার সর্বদা স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের কার্যকারিতায়র মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে থাকে।
                               রাজ্যে স্বচ্ছ প্রশাসন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল সদস্যদের কাজ করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমস্ত গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে 'ভোকাল ফর লোকাল' এর প্রচারে পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উন্নয়নকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। ২০১৮ সালে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদ দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত সতত বিকাশ পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। এছাড়া কাঠালিয়া পঞ্চায়েত সমিতি ২৫ লক্ষ টাকা, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতি ২৫ লক্ষ টাকা এবং ২০২০ সালে মোহনভোগ গ্রাম পঞ্চায়েত ৮ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছে। সেই সঙ্গে ২০২২ সালে আমরা দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত সতত বিকাশ পুরস্কার পেয়েছি। ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পরিচালনায় আমরা জাতীয় স্তরে একটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। 
                           শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, বিধায়ক কিশোর বর্মন, বিধায়ক মীনা রানী সরকার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডাঃ বিশাল কুমার, পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব ডঃ সন্দীপ রাঠোর, পঞ্চায়েত দপ্তরের অধিকর্তা প্রসূন দে সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ। 
                এদিন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সভাধিপতি হিসেবে বলাই গোস্বামী ও সহকারী সভাধিপতি হিসেবে বিশ্বজিৎ শীল শপথ গ্রহণ করেন। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পঞ্চায়েত ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব। এছাড়া নবনির্বাচিত সদস্য ও সদস্যাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পঞ্চায়েত দপ্তরের অধিকর্তা। মোট ১৭ জন সদস্য সদস্যা এদিন শপথ গ্রহণ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ