Advertisement

Responsive Advertisement

জনকল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর: জাতপাতের ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে স্বেচ্ছায় রক্তদান হল মানবতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। রক্তদানের ক্ষেত্রে কোনও ধরণের লিঙ্গ বৈষম্য থাকে না। বুধবার শহীদ ভগৎ সিং যুব আবাসে মহারাণী তুলসীবতী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৪তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। 
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেশ সবক্ষেত্রেই ক্রমশঃ এগিয়ে চলছে। জনকল্যাণে তিনি যা যা ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশে তিন তালাক বিলোপ করা হয়েছে। তাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাগণ উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলেই জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ও ৩৫(এ) ধারা বাতিল করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী সকলের জন্য পাকা ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শহর ও গ্রামে প্রচুর ঘর প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পিএম-কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে বার্ষিক ৬ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থাও প্রধানমন্ত্রী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় চালু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র ভারতবাসীকে একসূত্রে গেঁথে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশে জি-২০ সম্মেলনের সফল আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যেও জি-২০ সম্মেলনের একটি ইভেন্ট সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগের ফলেই রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের জনগণকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের বেশ কয়েকজন জনজাতি ব্যক্তিত্বকে পদ্মশ্রী প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মাকে তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারও জনজাতি অংশের জনগণের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। জনজাতি এলাকায় শিক্ষা, যোগাযোগ সহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে ১,৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। জনজাতি এলাকার ছেলে-মেয়েদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রাজ্যে ২১টি একলব্য মডেল রেসিডন্সিয়াল বিদ্যালয় স্থাপনের মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল বিদ্যালয় চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যকে হীরা মডেল উপহার দেওয়ার ফলেই বর্তমানে রাজ্যে সড়ক, রেল, বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগের ফলেই দেশে ৩৪ বছর পর নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্যেও এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগের ফলেই ব্রু-শরণার্থী পুনর্বাসনের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার বলেন, গত ৩-৪ মাস আগে রাজ্যে কিছুটা রক্তের অভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ক্লাব সহ জনগণকে স্বেচ্ছা রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছা রক্তদানে এগিয়ে এসেছেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহারাণী তুলসীবতী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি বিপিন দেববর্মা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ