আগরতলা, ৭ সেপ্টেম্বর : আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক থেকে ৮কিলোমিটার ভিতরে বেলবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত বড়মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অরণ্য ঘেরা ছোট্ট একটি প্রত্যন্ত জনজাতি গ্রাম হল চাম্পা পাড়া। তাদের জীবনজীবিকাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে রাজ্যের জৈব প্রযুক্তি দপ্তর বায়োভিলেজ ২:o প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছেন। যার শুভ সূচনা হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মার উপস্থিতিতে প্রকল্পের বিভিন্ন উপাদান বিতরণের মাধ্যমে।
এখানে উল্লেখ্য যে, সবুজ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে গ্রামীন এলাকার জনগণের সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে বায়োভিলেজ প্রকল্প হল ত্রিপুরা সরকারের বায়োটেকনোলজি দফতরের একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের সফলতার গল্প দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে ও শোনা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ৩০ শে অক্টোবর মন কি বাত অনুষ্ঠানে।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচিত বেনিফিশাদের মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয়ী বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম , জৈব সার , উন্নত প্রজাতির হাঁস ও মুরগির ছানা এবং প্রতিপালনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ও বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর, পশুপালন দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকদের মাধ্যমে বায়োভিলেজের বিভিন্ন উপাদানের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন BAC চেয়ারম্যান, রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান জয়েন্ট ডিরেক্টর ড. উত্তম সাহা, বায়োটেকনোলজি দপ্তরের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার অঞ্জন সেনগুপ্ত, জিরানিয়া সাব ডিভিশনের এসডিএম, দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা, যুগ্ম অধিকর্তা ও অন্যান্য আধিকারিকরা। দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা এই প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধাগুলি বেনিফিশিয়ারিদের সামনে উপস্থাপন করেন এবং আগামীদিনে প্রকল্পটি রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে আরো বেশি করে বাস্তবায়িত করার জন্য দপ্তরকে অনুরোধ করেন। উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এলাকার জনগণের মধ্যে খুশির আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ