Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্ত সকল শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর: জাতীয় শিক্ষা নীতির সঠিক বাস্তবায়নে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা অপরিসীম। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (জাতীয় শিক্ষা নীতি) শুধু ত্রিপুরায় বাস্তবায়িত হচ্ছে না, সারা দেশেই এই নীতি কার্যকর হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের ভালোভাবে বুঝানোর দায়িত্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের। কারণ শিক্ষকরাই জাতির মেরুদণ্ড। 

শনিবার রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্ত সকল শিক্ষকদের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সম্বর্ধনা প্রদান করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 

উল্লেখ্য, প্রতিবছর দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মজয়ন্তীতে শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। আর এই বিশেষ দিনে রাষ্ট্রনির্মাণের কাজে নিয়োজিত শিক্ষকদের সম্মানিত করা হয়। তবে এবছর শিক্ষক দিবস উদযাপন সমারোহে বিশেষ কারণে উপস্থিত থাকতে পারেন নি মুখ্যমন্ত্রী। তাই নিজের সরকারি বাসভবনে এবার শিক্ষকদের সম্মানিত করলেন তিনি। 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, সুষ্ঠু ও নীতিনিষ্ঠ সমাজ নির্মাণে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। তাই তাঁদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করার পাশাপাশি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। জাতীয় শিক্ষা নীতি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার গুরুদায়িত্বও তাঁদের। বিশেষ করে এবিষয়ে যাবতীয় নীতি নির্দেশিকা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে। সমাজের বিশিষ্টজনদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন শিক্ষকগণ। সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে শিক্ষকদের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের উপরই নির্ভর করছে আগামীদিনের ভবিষ্যত। ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভালো ফলাফল করতে পারে সেদিকে অবশ্য নজর রাখতে হবে। 

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার খুবই আন্তরিক। শিক্ষা ক্ষেত্রে সবদিক দিয়ে উন্নত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য শূন্যপদগুলি পূরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে কাজ করেছে। এর পাশাপাশি সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বন্যায় রাজ্যের তিনটি জেলা দক্ষিণ, গোমতী ও সিপাহীজলা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় শিক্ষা দপ্তরেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য শিক্ষা দপ্তরকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ