Advertisement

Responsive Advertisement

দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি-জনজাতি অংশের জনগণের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হচ্ছে: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১৪ অক্টোবর: দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্যের জাতি-জনজাতি অংশের জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হচ্ছে। রাজ্য সরকারও জাতি-জনজাতিদের এই সম্প্রীতির বন্ধনকে পাথেয় করে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। আজ মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের সম্মুখে মায়ের গমন-২০২৪ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত মায়ের গমন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজন্য আমলেও মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্যে সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বের করা হতো। এই ঐতিহ্যকে স্মরণে রেখেই এবছর মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের সম্মুখে মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য শহরের বিভিন্ন ক্লাবগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মায়ের গমন অনুষ্ঠানকে সফল রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে এখানে সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা পুর নিগমের উদ্যোগে দশমীঘাটকে অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ফলে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা বিসর্জনও সম্ভব হচ্ছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী পুর নিগমের মেয়র সহ সমস্ত স্তরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, মায়ের গমন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত দুই বছরে শহরবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়েছিল। এবছরও মায়ের গমন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উৎসাহ তৈরী হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই রাজ্যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দূর্গোৎসবের আয়োজন সম্ভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে মায়ের গমন অনুষ্ঠান প্রথম শুরু হয় ২০২২ সালে। এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠানটি মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য আগরতলা শহরের বিভিন্ন ক্লাবকে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ৪৫টি ক্লাব সম্মতি জানিয়েছে। মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির মধ্যে বিভিন্ন বিভাগে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তিনটি ক্লাবকে পুরস্কৃত করা হবে। এর মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ক্লাবকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্লাবকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হবে। এছাড়াও জেলাস্তরে শ্রেষ্ঠ পূজার আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ক্লাবকে পুরস্কৃত করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ