আগরতলা, ৩১ অক্টোবর : শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে বেগুড়ের প্রাণ হারালেন এক অসহায় জামাই। পরিকল্পিত ভাবে জামাতা খুন হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী আমতলী থানার অন্তর্গত ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাগমারা কলোনী এলাকার ঝুটন সরকার গত সাত আট বছর আগে একই এলাকার অজয় সরকারের মেয়ে মাম্পি সরকারকে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
কিন্তু প্রায়ই তাদের পরিবারে কলহ চলতো। এই ঘটনার জেরে গত তিন বছর আগে মাম্পি সরকার তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। অন্যদিকে ঝুটন সরকার তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে দেখতে প্রায়ই শ্বশুরবাড়িতে যেত। এরই মধ্যে গত রবিবার গভীর রাতে ঝুটন সরকারের শ্যালিকার জামাই মনি দেবনাথ ঝুটনকে তার শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
স্ত্রী মাম্পি সরকার এবং শাশুড়ি শেফালী সরকারের প্ররোচনায়মনি দেবনাথ এবং তার বন্ধু মিলে জুটনকে বেধড়ক ভাবে মারধর করে মাটিতে ফেলে রাখে। রাত দেড়টার নাগাদ ঝুটনের ভাই শশুর বাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখে ঝুটন তার শ্বশুরবাড়ির রান্না ঘরে পড়ে রয়েছে। জুটানোর ভাই থানায় খবর দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আহত অবস্থায় জুটনকে উদ্ধার করে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এদিকে ঘটনার দিনই অভিযুক্ত মনি দেবনাথকে আমতলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জেল হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে বুধবার ভোরে জিবি হাসপাতালে ঝুটন সরকার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
ঝুটন সরকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ বুধবার দুপুরে একটি খুনের মামলা নথিভুক্ত করে। এদিন ঝুটন সরকারের মৃতদেহ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলে পরিবারের লোকজন সহ আত্মীয়-স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
এদিকে বুধবার বিকেলে ঝুটন সরকারের স্ত্রী মাম্পি সরকার এবং তার শশুর অজয় সরকার আমতলী থানায় আসলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় গোটা এলাকার মানুষ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করছে।
0 মন্তব্যসমূহ