Advertisement

Responsive Advertisement

উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ ত্রিপুরা রাজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটা নিদর্শন: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ৭ অক্টোবর: উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ ত্রিপুরা রাজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটা নিদর্শন। এটাকে পুনরুদ্ধার ও পুন:সংস্কার করার মধ্য দিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণও বাড়ানো যাবে। 
সোমবার সন্ধ্যায় আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের বাগানের পুন:সংস্কার ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এই অনুষ্ঠান থেকে উন্নয়ন বিরোধী নেতিবাচক মনোভাবের জন্য নাম না করে বিরোধীদের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ চত্বরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেড উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের বাগানের পুন:সংস্কার ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কাজ চলার সময়ে আমিও কয়েকবার এসে পরিদর্শন করি। এর কাজ কবে শেষ হবে সেই অপেক্ষা করছিলাম সবাই। আর আজ একটা শুভদিনে এর উদ্বোধন হলো। এর মাধ্যমে নাগরিকদের উপযোগী একটা সুন্দর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এখানে শহর কেন্দ্রিক একটা ডিজাইনও তৈরি করা হয়েছে। বাইরে থেকে পর্যটকরা এলে এই নতুন ব্যবস্থাপনায় আকর্ষিত হবেন। এতে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। এই বাগানকেও সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তোলা হয়েছে। সেলফি নেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ডিজাইনের বেঞ্চ রাখা হয়েছে। উত্তর গেটের সংস্করণ, ফুড কোর্ট স্থাপন, কৃষ্ণসাগরে অপূর্ব মিউজিক্যাল ফাউন্টেন সহ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা পর্যটকদের আরো আকৃষ্ট করবে। 
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, লক্ষীনারায়ণ বাড়ি লাগোয়া রাধাসাগরে সৌন্দর্যায়ন ও ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা করা হবে। এর পাশে হাঁটার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকছে সুদৃশ্য আলোকসজ্জা, পার্কিং জোন, মাল্টি এক্টিভিটি প্লাজা সহ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। সুন্দরভাবে থাকার জন্য সমস্ত ব্যবস্থাপনা করছে সরকার। সবাই যাতে এখানে এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত পথেই মানুষের কল্যাণে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানেই উন্নয়ন।
তিনি বলেন, আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্যেই উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে চলছি। কিন্তু অনেকে এই উন্নয়নে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের কথাবার্তায় এটা পরিষ্কার যে ত্রিপুরায় যাতে উন্নয়ন না হয়। কারণ উন্নয়ন হলে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই সমস্যা হবে। এজন্য নানা কথা, নানা কটূক্তি করছে তারা। যদিও এতে লাভের লাভ কিছু হবে না। আমরা স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করতে চাই।  
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, আগরতলা স্মার্ট সিটি লিমিটেডের সিইও ডাঃ শৈলেশ কুমার যাদব সহ প্রশাসনের আধিকারিক ও অন্যান্য অতিথিগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ