আগরতলা, ১২নভেম্বর: এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ জেলার দেবদারু এলাকার অপেক্ষাকৃত গরিব অংশের চাষিদের পাশে দাঁড়াল ত্রিপুরা কৃষি স্নাতক সমিতি তথা তাগা। সংগঠনের তরফে ঐ এলাকার ১০০জন চাষির হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতকালীন সবজি বীজ ও নগদ টাকা।
এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর্থিক সহায়তা ও আয় দ্বিগুণ করার লক্ষে সরকার কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি সংগঠনের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন কৃষি উপঅধিকর্তা সুমিত কুমার সাহা। এরপর একে একে আলোচনা করেন জোলাইবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন তাপস দত্ত, বিএসি চেয়ারম্যান অশোক মগ, মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ড. রাজীব ঘোষ, বর্তমান সভাপতি জীবন দেববর্মাসহ অন্যান্যরা।
উপস্থিত বক্তারা কৃষি স্নাতক সমিতির এধরনের সমাজ সেবামূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সংগঠনের কার্যকর্তারা পাশে থেকে সবসময় সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
শান্তিরবাজার মহকুমার দেবদারু, জোলাইবাড়ি অঞ্চলে প্রতিবছর প্রচুর পরিমানে আলু চাষ হয়ে থাকে। এবারের বন্যায় বহু জমিতে বালি পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা কৃষি উপঅধিকর্তা সুমিত সাহা বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, বালি অপসারণের ব্যাপারে কৃষকদের আরও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রতীকী সাহায্য হিসাবে এক হাজার টাকা করে পেয়েছেন চাষিরা।
সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি তথা নাগিছড়া উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ড. রাজীব ঘোষ বলেন, রাজ্যে ৭৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়ে থাকে। তার মধ্যে বেশি চাষ হয় দক্ষিণ জেলায়। এ বছরও এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চারশোজন চাষিকে ভর্তুকী মূল্যে বীজ সহ আর্থিক সহায়তা ও জমির অম্লতা দূর করার জন্য মাটি শোধনকারী ফসকো জিপসান প্রয়োগ করা হবে। বন্যার কারণে জমির পিএইচ নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সংগঠনের সভাপতি জীবন দেববর্মা বলেন, রাজ্যের প্রত্যেক কৃষি আধিকারিক খুবই দক্ষতার সাথে সরকারী দায়িত্ব পালন করছেন। সেসাথে সংগঠনের মাধ্যমে নানা সমাজসেবামূলক কাজেও যুক্ত। যার মধ্যে চাষিদের সাহায্য একটি অন্যতম কর্মসূচি।
0 মন্তব্যসমূহ