Advertisement

Responsive Advertisement

ধন্বন্তরি দেবী বা আয়ুর্বেদের দেবতা



                     ড. হৈমন্তী ভট্টাচার্যী


ধন্বন্তরি দেবতা হিন্দু ধর্মে আয়ুর্বেদের দেবতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মানুষকে রোগমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ঔষধি ও চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত কলস হাতে করে উঠে এসেছিলেন বলে পুরাণে উল্লেখ আছে। তাঁকে বিষ্ণুর অবতার বলেও মনে করা হয়। ধন্বন্তরিকে হাতে অমৃত কলশ ও নিমপাতা নিয়ে চিত্রিত করা হয়। তাঁর বাহন হল হাঁস।তাঁর স্ত্রীর নাম সুশ্রুতা।
 ধনতেরাস: ধনতেরাসের দিন ধন্বন্তরির পূজা করা হয়। এই দিনে স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
 ধন্বন্তরি মন্দির: ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ধন্বন্তরির মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরগুলিতে মানুষ সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রার্থনা করতে আসেন।
 ধন্বন্তরির প্রতীক: কমন্ডলু, অমৃত কলস, সর্প ইত্যাদি ধন্বন্তরির প্রতীক।
ধন্বন্তরির মন্ত্র: ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় ধন্বন্তরায় অমৃত কলশ হস্তায় সর্ব মায়া বিনাশনায় ত্রিলোক্য নাথায় শ্রী মহাবিষ্ণু নমঃ।

ধনন্তরী দেবীর জীবন কাহিনী
ধন্বন্তরী দেবীর জীবন কাহিনী হিন্দু পুরাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি চিকিৎসা, জ্ঞান ও সৌন্দর্যের দেবতা হিসেবে পূজিত। তাঁর জীবন কাহিনী মানুষকে স্বাস্থ্য ও কল্যাণের প্রতি সচেতন করে তোলে।
ধন্বন্তরি জীবন কাহিনী আসলে একাধিক পুরাণিক কাহিনীর মিশ্রণ। তিনি হিন্দু ধর্মের একজন বিশেষ দেবতা, যিনি আয়ুর্বেদের দেবতা হিসেবে পরিচিত। তাঁকে বিষ্ণুর অবতার বলেও মনে করা হয়।
কিছু প্রধান কাহিনী:
 দ্বিতীয় দ্বাপর যুগে অবতরণ: এক কাহিনী অনুযায়ী, দ্বিতীয় দ্বাপর যুগে কাশীরাজ দীর্ঘতপা পুত্র কামনায় ধন্বন্তরির আরাধনা করেন। দেবতা বর হিসেবে কাঙ্খিত সন্তান রূপে স্বয়ং অবতরণ করতে রাজি হন। ধন্বন্তরি এক মহান রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
 সমুদ্র মন্থন: অন্য এক কাহিনী অনুযায়ী, দেবতারা ও অসুররা মিলিত হয়ে কিরণ পর্বতকে মন্থন করে অমৃত লাভ করতে চাইল। মন্থনের সময় সমুদ্র থেকে ধন্বন্তরি হাতে অমৃত কলশ নিয়ে উঠে আসেন।
 আয়ুর্বেদের জনক: ধন্বন্তরিকে আয়ুর্বেদের জনক বলে মনে করা হয়। তিনি মানবজাতির কল্যাণে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
ধন্বন্তরীর গুরুত্ব:
 চিকিৎসা: তিনি চিকিৎসার দেবতা হিসেবে পূজিত। রোগ নিরাময় ও স্বাস্থ্যের দেবতা হিসেবে তাঁর প্রতি বিশ্বাস রয়েছে।
 জ্ঞান: তিনি জ্ঞান ও বিদ্যার দেবতা হিসেবেও পূজিত। আয়ুর্বেদের পাশাপাশি অন্যান্য বিদ্যার জ্ঞানও তাঁর কাছে ছিল বলে বিশ্বাস করা হয়।
 সৌন্দর্য: তিনি সৌন্দর্যের দেবতা হিসেবেও পরিচিত। তাঁকে যুবক ও সুন্দর দেবতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়।
ধন্বন্তরী পূজা:
আয়ুর্বেদ দিবসে ধন্বন্তরী দেবতাকে বিশেষভাবে পূজা করা হয়। এই দিনে চিকিৎসকরা তাঁর আশীর্বাদ কামনা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ