Advertisement

Responsive Advertisement

আইটিআই গুলির উন্নতিতে টাটা টেকনোলজি'র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে রাজ্য সরকার




আগরতলা, ১৬ নভেম্বর : রাজ্যের ১৯টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (আইটিআই)-এর উন্নতিতে রাজ্য সরকার টাটা টেকনোলজি লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। নমিনেশন ভিত্তিতে আগামী ৫ বছরের জন্য যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাব গত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী গত মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে রাজ্যের আইটিআইগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আইটিআই পাশ ছেলে মেয়েদের স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বহিরাজ্যে প্লেসমেন্ট পাওয়ার সুবিধার্থেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সাথে টাটা টেকনোলজি লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই প্রকল্পে আইটিআইগুলিতে নতুন আরও ১১টি ট্রেডকে যুক্ত করা হয়েছে। এই যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৮৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে টাটা টেকনোলজি লিমিটেড ৮-৬ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার ১৪ শতাংশ প্রকল্প ব্যয় বহন করবে। এর বাইরেও রাজ্য সরকার রাজ্যের ১৯টি আইটিআই'র মধ্যে মোট ১৩ হাজার বর্গফুট এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে অতিরিক্ত ১০৭ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, আগরতলা থেকে বিভিন্ন রুটে বিশেষ করে আগরতলা-কলকাতা রুটে বিমান ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা সঠিক নয়। এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে পরিবহন মন্ত্রী জানান, বিমান ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি বিমান পরিষেবা সংস্থা করে থাকে। ডিজিসিএ'র অধীন ট্যারিফ মনিটরিং ইউনিট বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করে থাকে। তিনি জানান, প্রতিটি বিমানে ৬০ শতাংশ আসন বেসিক রেটের মধ্যে অর্থাৎ ৪ হাজার টাকার নিচে বিমান ভাড়া থাকে। বাকি আসনগুলির ক্ষেত্রে যেসব যাত্রীরা তৎক্ষনাৎ, জরুরী বা শেষ মুহূর্তে বিমানের টিকিট কাটেন তাদের ক্ষেত্রে বিমানের ভাড়া বেশী হয়। প্রতিটি বিমানেই এমন ৮-১০টি আসন থাকে। কিন্তু যেসমস্ত বিমান যাত্রীরা আগাম টিকিট কেটে রাখেন তাদের ভাড়া ৪ থেকে ৬ হাজারের মধ্যে ওঠানামা করে। পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, বিমান পরিষেবায় উড়ান প্রকল্পটি ২০১৬ সালে চালু হয়েছে। মূলত গরিব অংশের মানুষের সুবিধার্থে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়। তিনি জানান, মূলত দেশের আনডিজার্ভড এবং আনসার্ভড বিমান বন্দরগুলিকে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে এই উড়ান প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। উড়ান প্রকল্পের নির্দেশিকা অনুযায়ী আনডিজার্ভড বিমানবন্দর হচ্ছে যেখানে প্রতিদিন ১টি বিমান চলে এবং আনসার্ভড বিমানবন্দর হচ্ছে যেখানে প্রতিদিন ১টি বিমানও চলে না। এক্ষেত্রে আগরতলা এবং কোলকাতা বিমান বন্দরটি আনডিজার্ভড বা আনসার্ভড বিমান বন্দর হিসাবে বিবেচিত হয় না। তাই উড়ান প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাজ্যের বিমানযাত্রীরা প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক নয়। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে ১৬টি বিমান উঠা-নামা করছে। শীঘ্রই আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দর থেকে নতুন একটি ইন্ডিগো-এয়ারবাস চালু হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি, পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব মৈত্রী দেবনাথ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ