আগরতলা, ৩০ নভেম্বর : এ আর সি আলুর বীজ দিয়ে আলু উৎপাদনের বিষয়ে একদিনের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার। পুরাতন আগরতলা কৃষি মহাকুমার অন্তর্গত পুরাতন আগরতলা আঞ্চলিক কৃষি অফিসে এদিনের এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পুরাতন আগরতলা কৃষি মহকুমার কৃষি আধিকারিক ড. রাজশ্রী চক্রবর্তী, রাজ্য উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এবং এআরসি পদ্ধতিতে আলু চাষ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সুব্রত চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। তারা এআরসি আলু চাষ সম্পর্কে আলোচনা করেন। এই কৃষি মহকুমা থেকে ১০ জন কৃষককে পরীক্ষা মূলক ভাবে এ আর সি আলু চাষের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদেরকে এই চাষ সম্পর্কিত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ আলুর চারা সহ অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হরে কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে। রাজ্য প্রথাগত পদ্ধতিতে আলুর কন্ধ দিয়ে আলু চাষ করা হচ্ছে পাশাপাশি টিপিএস পদ্ধতিতে আলুর দানা বীজ দিয়ে আলু চাষ করা হচ্ছে। রাজ্য আলু চাষের সর্ব শেষ এবং সবচেয়ে উন্নত মানের আলু চাষ পদ্ধতি হচ্ছে এআরসি। এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হলে খুব দ্রুত এবং ব্যাপক পরিমাণে আলোর ফলন হয়। সাধারণ পদ্ধতিতে উৎপাদিত আলুর চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি আলু উৎপাদিত হয় একই জমিতে। তাই সরকার থেকে এই পদ্ধতিতে আলু চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং আগ্রহী চাষীদের সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। বর্তমানে আলুর বীজ আনার জন্য বহি রাজ্যে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে অর্থ চলে যাচ্ছে। তাই রাজ্যকে আলো বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে এ আর সি পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে রাজধানী আগরতলা সংলগ্ন নাগিছড়া রাজ্য উদ্যান এবং মৃত্তিকা ফসল গবেষণা কেন্দ্র ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই পদ্ধতিতে আলু চাষের সাফল্য আসছে শুরু করেছে রাজ্যে। আগামী দিনে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য।
0 মন্তব্যসমূহ