আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর: ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার। আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান এডভোকেট সমীর ঘোষ, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব বিশ্বশ্রী বি, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানিক লাল দাস প্রমুখ।
এদিনের এই বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন চা পাতা কারখানার মালিক পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মূলত ত্রিপুরা চায়ের উৎপাদন বিপণন, পরিবহন এবং গুণগত মানের বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি উৎপাদকদের তরফে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলা হয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে রাজধানী আগরতলায় চা'র একটি ই - নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ইতিমধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। খুব দ্রুত এই ই - নিলাম কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তার কিছুদিন আগে এমন একটি আলোচনা চক্র রাজ্যের চায়ের ক্রয় বিক্রয়ের বিষয় এবং দেশ-বিদেশের রাজ্যের চা এর পরিচিতি এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগম এবং ভারত সরকারের চা উন্নয়ন পর্ষদের যৌথ উদ্যোগে এদিনের এই আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত হয়।
রাজ্যের চা চাষী থেকে শুরু করে চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা দীর্ঘ বছর ধরে বঞ্চনা শিকার হলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চা চাষীদের এবং চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য একের পর এক নিয়েছে। একদিকে যেমন চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি, তেমনি গুণগত মান উন্নয়ন, রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানের মাধ্যমে সস্তায় ভালো মানের চা প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া, ত্রিপুরা চায়ের বিশেষ পরিচিতির জন্য লোগো উন্মোচন, সর্বোপরি চার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য জমির বন্দোবস্ত এবং পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের চা কে দেশ এবং বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য বর্তমান সরকার এবং বিশেষ করে রাজ্য চা উন্নয়ন নিগম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0 মন্তব্যসমূহ