আগরতলা, ৩ ডিসেম্বর : প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ সনাতনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু অংশের মানুষের উপর বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত হামলা এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের এমন নিন্দনীয় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার আগরতলা
সহ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় সনাতনী যুবা'র উদ্যোগে "বাংলাদেশ চলো" অভিযান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে কয়েকশো যুব অংশের মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আখাউড়া সীমান্তের দিকে যাওয়ার। তারা বাংলাদেশের ঘটনা নিন্দা জানিয়ে এবং সে দেশের সংখ্যালঘু অংশের মানুষের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। এই সময় তাদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং সংগঠনের পতাকা ছিল। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী এবং বিজেপি নেতা জয় লাল দাস, বিপ্লব কর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ ইসকন, জগন্নাথ বাড়ি মন্দির এবং বেনুবন বিহার বুদ্ধ মন্দিরের ধর্ম গুরুরা। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বক্তব্য রাখতে গিয়ে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে সে দেশের সনাতন অংশের মানুষের এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘঘু অংশের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে।
তাদের এই কর্মসূচির কথা পুলিশ জানতে পেরে কঠুর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাজধানীর আরএমএস চৌমুনী এবং রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে রাস্তার দুই দিকে বাঁশ বেঁধে পুলিশের বেরিকেট দিয়ে দেয়। প্রচুর পরিমাণে পুলিশ টিএসআর এবং সিআরপিএফ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জল কামান, রায়েট কন্ট্রোল ভ্যান ইত্যাদিও মজুদ করা হয়। কিন্তু এগুলির প্রয়োজন হয়নি মিছিল খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের বাধা দিলে শান্তিপূর্ণ ভাবে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে এদিনের মতো চলে যান। তবে নেতৃত্বরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন সে দেশে সংখ্যালঘু অংশের মানুষের উপর আক্রমণ যতদিন না বন্ধ হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে।
0 মন্তব্যসমূহ