Advertisement

Responsive Advertisement

দুই মহিলাসহ মোট ছয় জন নেশা কারবারি পুলিশের জালে


আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর : সদর এসডিপিওর তৎপরতায় রাজধানীতে আবারো ছয় নেশা কারবারি পুলিশের জালে ধরা পড়ে। এই নেশা কারবারীদের মধ্যে দুইজন মহিলাও রয়েছে। 
নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার মুখ্যমন্ত্রীর এই আহবানকে একশো শতাংশ সফল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সদর মহকুমার এসডিপিও দেবপ্রসাদ রায়। তিনি নিজ এলাকার প্রতিটি থানা এবং ফাঁড়ির আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। উনার এই আহবানে সাড়া দিয়ে রাজধানী শহরকে প্রায় নেশা মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আগে যেখানে প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর আনাচে-কানাচে নেশা কারবারীদের রমরমা ছিল এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এরপরও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিঁটে ফুটে যে কিছু নেশা কারবারি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভাবে অভিযান চালাচ্ছেন এসডিপিও সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বটতলা এলাকা থেকে মোট ছয় জন নেশা কারবারীকে আটক করা সম্ভব হয়। এর মধ্যে দুইজন মহিলা। 
শুক্রবার এই অভিযান সম্পর্কে সদর এসডিপিও পশ্চিম থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, বিশেষ সূত্রে তাদের কাছে খবর আসে বটতলার হাওড়া মার্কেট এলাকায় কিছু নেশা কারবারি নেশা সামগ্রী আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে জড়ো হবে। বিশেষ সূত্রে পাওয়া এই খবরের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ সাদা পোশাকে কিছু পুলিশ কর্মী এবং ড্রেস পরিহিত কিছু পুলিশ কর্মী মোতায়ন করা হয়। এই পরিকল্পনাকে সফল করতে পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি পরিতোষ দাস এবং বটতলা ফাঁড়ির ওসি মিলে বিশেষ অভিযান শুরু করেন। এই অভিযানে চারজন নেশা কারবারিকে আটক করা সম্ভব হয়। আরো কয়েকজন নেশা কারবারি ছিল কিন্তু তারা পালিয়ে যায়। নেশা দ্রব্য ব্রাউন সুগারসহ আটক চারজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হলে আরো দুই মহিলার নাম উঠে আসে। ওই দুই মহিলা নেশা কারবারিকে কিছুক্ষণ পরেই আটক করে নিয়ে আসা হয়। সকলের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন এসডিপিও। 
আটক ৬ জনের নাম যথাক্রমে রামু দাস(৩২), অভিনাশ দেবনাথ(১৮), অনিমেষ ঘোষ(২১), সাঞ্জা দেববর্মা(২৪), পিংকি দাশ(৩০) এবং পূজা ঘোষ(২৪)। এদিন আটককৃত ব্রাউন সুগারের মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হবে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানার চেষ্টা হচ্ছে কোথা থেকে এই ব্রাউন সুগার গুলো আসছে। তিনি আরো জানান এখন রাজধানীর বটতলা এলাকার বেশিরভাগ নেশা কার বাড়ি আটক হয়ে গিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান জারি থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ