আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর: উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের প্লেনারি সেশন এই অঞ্চলের অগ্রগতির মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের একটি মঞ্চ। আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, যোগাযোগ ক্ষেত্রের অগ্রগতি, সুস্থায়ী উন্নয়ন এবং সামাজিক সমতা প্রসারের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজ প্রজ্ঞাভবনে উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি সেশনে ত্রিপুরার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু একথা বলেন। তিনি বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্যদ এই অঞ্চলের উন্নতিতে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ৮টি রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্লেনারি সেশনে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে ত্রিপুরা অসামান্য অবদান রেখেছে। কৃষিক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিল্পের প্রসার, জনজাতি কল্যাণ, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ত্রিপুরার ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে। এটা শুধু নীতিগত সংস্কারের প্রতিফলন নয়, ত্রিপুরার মানুষের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই পরিবর্তন এসেছে। রাজ্যপাল বলেন, ত্রিপুরা হলো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার। এ কারণেই কৌশলগতভাবে পূবে সক্রিয় হও নীতি এখানে রূপায়ণ করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের আর্থিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে আরও বেশি করে জাতীয় সড়ক সংযোগ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
প্লেনারি সেশনে রাজ্যপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তে আরও বেশি নিরাপত্তা ও নজরদারির উপরও গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের যুবকদের সেনাবাহিনী এবং পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তাদের পারদর্শী করে তুলতে যুবকদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ত্রিপুরাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মজুত ৯০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিনের মজুত করা প্রয়োজন। কারণ বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অনেক সময়ই সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যাতে সমস্যা না হয়। মাদকদ্রব্য পাচার এবং মাদক সেবনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও রাজ্যপাল উদ্যোগ নেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি এবং মেডিক্যাল ট্যুরিজমের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ত্রিপুরায় বিমান পরিষেবা বৃদ্ধির জন্যও বৈঠকে রাজ্যপাল গুরুত্ব আরোপ করেন।
0 মন্তব্যসমূহ