মানুষের অধিকার হরণই ছিল সিপিআইএম-র কাজ: সুব্রত চক্রবর্তী

আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি : দুর্নীতি এবং জনগণের অধিকারকে হরণই করাই ছিল সিপিআইএমের কাজ ছিল। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য গতকাল সিপিআইএম প্রকাশ্য জনসমাবেশ করেছে। কারণ, বর্তমান সরকারের সময়ে রাজ্যের উন্নয়ন তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাঁদের লক্ষ্যই হচ্ছে ত্রিপুরায় অরাজকতা তৈরী করা। বৃহস্পতিবার সিপিআইএম দলের রাজ্য কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশের প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করেন প্রদেশ বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, সিপিআইএমের প্রকাশ্য জন সমাবেশ করে বাম নেতা প্রকাশ কারাত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা ভুল মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাদের কারোর চোখে রাজ্যের উন্নয়ন নজরে পড়েনি। তাদের নীতিই ছিল বিভাজনের রাজনীতি করা এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করা। 

এদিন তিনি অভিযোগ করে বলেন, ত্রিপুরায় ৩৫ বছর সিপিআইএম গনতন্ত্রকে খণ্ডিত করে শাসন ক্ষমতায় টিকে ছিল। দুর্নীতিকে পাথেয় করে এবং জনগণের অধিকারকে হরণ করে ছিল তাঁদের কাজ। তাই আজ বিজেপি সরকারের রাজত্বে রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না সিপিআইএমদের।

এদিন তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিগত দিনে সিপিআইএম জনগণকে কৌশলে করে মিছিলে আসতে বাধ্য করত। এই অবস্থা থেকে বিজেপির হাত ধরে রাজ্য বেরিয়ে এসেছে। যখন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে যাচ্ছে। তখনই জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য গতকাল সিপিআইএম প্রকাশ্য জনসমাবেশ করেছে। কারণ, তারা রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না। তাঁদের লক্ষ্যই হচ্ছে ত্রিপুরায় অরাজকতা তৈরী করা। কিন্তু বিজেপি সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নীতিকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।

তার দাবি, বিগত দিনে সিপিআইএম ত্রিপুরায় নৈরাজ্যে পরিণত করেছিল। আজ সেই নৈরাজ্যের বাতাবরণ থেকে বিজেপি সরকার কাটিয়ে উঠেছে সেটা সহ্য হচ্ছে না তাদের। এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য মুখপাত্রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়াসেলের ইনচার্জ সুনিত সরকারও।