Advertisement

Responsive Advertisement

ভারতীয় জনতা পার্টিতে কাজের কোন বিকল্প নেই: মুখ্যমন্ত্রী



আগরতলা, ২৩ জানুয়ারি: ভারতীয় জনতা পার্টিতে কাজের কোন বিকল্প নেই। কাজের মাধ্যমেই বিশ্বাস অর্জন করে নিতে হবে। তাই এখানে গ্রুপের কোন প্রয়োজন হয় না। কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠন অনেক শক্তিশালী।
                                  বৃহস্পতিবার টাউন বড়দোয়ালি মন্ডলের বুথ সভাপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সভায় বিভিন্ন ইস্যুতে সিপিএম ও কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। 
                                   সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা রাজ্য জুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা জেলা সভাপতি পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন আমি তাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হার্দিক অভিনন্দন জানাই। আগামীদিনে বড়দোয়ালি মন্ডল যাতে একটা মডেল মন্ডল হিসেবে পরিচিতি পায় সেই দিশায় কাজ করবেন তারা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। যে কাজ করবেন তিনি বিশ্বাস অর্জন করবেন। ভারতীয় জনতা পার্টিতে কাজের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। কাজ ছাড়া নিত্যদিন আসলে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না। এমন একটা পার্টির প্ল্যাটফর্মে আমরা রয়েছি। আগামীদিনে এই প্ল্যাটফর্ম সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এতে গ্রুপ করার কোন প্রয়োজন হয় না। কাজের নিরিখেই পদের নির্বাচন হয়। তাই কাজের কোন বিকল্প নেই। কাজের মাধ্যমেই একেকজনের পরিচিতি। 
                           মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার বুথ শক্তিশালী বুথ আমরা সবসময় বলি। আমি যখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করি তখন যে কাজই দেওয়া হোক সেটা মনেপ্রাণে করার চেষ্টা করি। আর সিপিএম পার্টি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাদের জন্যই কাজ করার তাগিদ এসেছে যে, যেভাবেই হোক সিপিএম পার্টিকে এখান থেকে সরাতে হবে। এজন্যই ২০১৮ নির্বাচনে এত ভোটে, এত আসন সংখ্যা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি আমরা। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর মানুষের একটা বিশ্বাস এসেছে। মানুষের বিশ্বাস হয়েছে যে একমাত্র তিনিই পারবেন ত্রিপুরাকে কমিউনিস্ট মুক্ত করতে। এরআগে কংগ্রেসের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি এখানে তাদের কুস্তি, আর দিল্লিতে দোস্তি। মানুষ বারবার বিশ্বাস করেছে তাদের। আর বারবার ধোঁকা খেয়েছে। তাই বুথের দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও যখন যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তখন মনোযোগ সহকারে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে কখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হবো কিংবা রাজ্য সভাপতি হবো - সেটা মাথাতেই ছিল না। কিন্তু মানুষের জন্য নীরবে কাজ করে গিয়েছি। ট্রেনে চড়ে একা একা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়েছি। যখনই যে কাজ দেওয়া হয়েছে মনেপ্রাণে করার চেষ্টা করেছি। 
                          সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাকে মেম্বারশিপ ড্রাইভের ইনচার্জের দায়িত্ব যখন দেওয়া হয় তখন সাকুল্যে ১ লক্ষ ২৪ হাজার মেম্বার ছিলেন। আমাকে টার্গেট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে আমি ৩ লাখ বলি। আর সেই ৩ লাখ থেকে একেবারে প্রায় ৭ লাখ পর্যন্ত মেম্বার বানাতে সমর্থ হই আমরা। দিল্লিতেও এনিয়ে আমাদের কাজকর্ম প্রশংসিত হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। আমাদের ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠন অনেক শক্তিশালী। আমাদের কার্যকর্তাগণও সাংগঠনিক কাজকর্মে খুবই আন্তরিক। 
                                    এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, সদর আরবান জেলার জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, ৮ বড়দোয়ালি মন্ডলের সভাপতি শ্যামল কুমার দেব, বড়দোয়ালি মন্ডলের প্রভারী সুব্রত চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় সাহা সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত বুথ সভাপতি, বুথ কমিটির সদস্য সহ অন্যান্য কার্যকর্তাগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ