আগরতলা, ৯ জানুয়ারি: রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগ কৃষিতে নতুন পালক যুক্ত হতে যাচ্ছে, মূলত প্রাকৃতিক চাষবাসের মাধ্যমে হবে এই বিপ্লব। মাটির স্বাস্থ্য উদ্ধারের রাজ্যে শুরু হচ্ছে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে প্রাকৃতিক চাষবাস। মূলত ন্যাশনাল মিশন অফ ন্যাচারাল ফার্মিং এর মাধ্যমে কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র গোবর এবং গোমূত্রকে ব্যবহার করে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে এবার দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। জমির স্বাস্থ্য উদ্ধার এবং ফসলের সুরক্ষায় ব্যবহৃত হবে গোবর গোমূত্র বেসন এবং মধু দিয়ে তৈরি বিজামৃত জীবামৃত এবং নিম গাছের পাতা সমৃদ্ধ নিমাশ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার আগরতলার অরুন্ধতীনগর এলাকার রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রতে অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য ভিত্তিক কর্মশালা। এদিনের এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির চেয়ারম্যান কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, মেম্বার সেক্রেটারি এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড ফনি ভূষণ জমাতিয়া। ডিরেক্টর মার্কেটিং, ডিরেক্টর টি সমিতি ত্রিপুরা কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান গন, কৃষি ও উদ্যান উপ-অধিকর্তাগণ, টিআরএলএম এর প্রতিনিধিরা তথা গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম অধিকর্তা স্টেট নোডাল অফিসার ডঃ উত্তম সাহা সহ অন্যান্যরা।
আগামী দুই বছরের অ্যাকশন প্ল্যানের উপর বিস্তারিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করে দেখান ডঃ উত্তম সাহা। তারপর উপস্থিত আধিকারিকরা একে একে প্রেজেন্টেশনের উপর বিস্তারিত ভাবে মত বিনিময় করেন। কৃষি অধিকারিক ড: ফনি ভূষণ জামাতিয়াও এই প্রকল্পে আগামী দুই বছরের অ্যাকশন প্ল্যান'র উপর উনার বক্তব্য পেশ করেন এবং প্রকল্পের সার্থকতা প্রত্যাশা করেন। সচিব অপূর্ব রায় প্রাকৃতিক কৃষিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে জেলাভিত্তিক বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা নানাবিধ পরামর্শ দেন। স্থানীয় জাতের সবজি ফল দানা শস্য চাষের উপর গুরুত্ব আরোপের আহ্বান জানান, প্রাণিসম্পদকে কাজে লাগিয়ে পরম্পরাগত কৃষিতে দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার কথা বলেন।
মতবিনিময়ে স্থানীয় রাজ্য কৃষি গবেষণাগারের বিজ্ঞানী যথাক্রমে উপ-অধিকর্তা অমিতাভ চক্রবর্তী সহ-অধিকর্তা অস্মিতা শর্মা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রাকৃতিক চাষবাসের বিষয়ে পর্যালোচনা করেন। সবশেষে যুগ্ম অধিকার ড: উত্তম সাহা পরম্পরা গত কৃষি ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক চাষবাসের সাফল্যের প্রত্যাশা রাখেন এবং সমস্ত আধিকারিকদের রাত যতটা কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষিমুখী চিন্তাভাবনার বাস্তবায়ন করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহ্বান জানান। প্রকৃতি আর বিজ্ঞানের মেলবন্ধনে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন পালক যুক্ত হতে পারে বলেও উনি আশা ব্যক্ত করেন। কর্মশালার আয়োজনে গবেষণা কেন্দ্রের আধিকারিক এবং অন্যান্য কর্মচারীদেরও তাদের সুন্দর আয়োজনের প্রশংসা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ