Advertisement

Responsive Advertisement

বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, আগরতলা’র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎযাপন



আগরতলা, ২১ ফেব্রুয়ারী : আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উৎযাপন করেছে। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে দুই পর্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে ১ম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরবর্তীতে সকাল ০৯:১০ ঘটিকায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অতঃপর সকাল ০৯:২৫ ঘটিকায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেয়া বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। সকাল ০৯:৩৫ ঘটিকায় ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। পরবর্তীতে সকাল ০৯:৪০ ঘটিকায় ভাষা আন্দোলন উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর দ্বিতীয় পর্বে, বিকাল ০৩:০০ ঘটিকায় ভাষা আন্দোলনের সকল আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণে ০১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অত:পর বিকাল ০৩:০২ ঘটিকায় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশনের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব এস এম আলমাস হোসেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধে মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মিহির দেব, আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: অনুপ সাহা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুজাহিদ রহমান, রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী অমিত ভৌমিক প্রমুখ। উক্ত আলোচনা সভায় সম্মানিত বক্তাগণ ভাষা শহীদদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
  সহকারী হাইকমিশনার জনাব আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে কিভাবে মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষা-ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গ্রহণের ভিত রচিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউলসহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালনকারীদের অবদানের বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের সকলের মনে রাখাতে হবে যে, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠা হয়। সারা বিশ্বের সকল শিশু যেন তাদের মাতৃভাষায় কথা বলা, শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানসিক বিকাশের অধিকার পায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অত:পর অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উপর স্থানীয় শিল্পীদের কবিতা আবৃত্তি উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ