Advertisement

Responsive Advertisement

বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগরতলা বাইক র‍্যালি অনুষ্ঠিত


আগরতলা, ৪ ফেব্রুয়ারী : ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের মেয়েদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি চালু করে ছিলেন। চালু হওয়ার পর থেকে এই কর্মসূচির মাধ্যমে কন্যা সন্তানদের বৃদ্ধি এবং শিক্ষার হারে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে ১০ বছর সম্পূর্ণ করেছে। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারাদেশ ব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো মহিলাদের নিয়ে বাইক র‍্যালি। 
ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের পশ্চিম জেলা অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত এই র‍্যালিটি রাজধানীর উমাকান্ত একাডেমির মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। র‍্যালির আগে মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক মেঘা জৈন, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের পশ্চিম জেলা অফিসের ২ পরিদর্শক যথাক্রমে বিপ্লব ঘুষ এবং দীপক লাল সাহা, পশ্চিম জেলা অফিসের সুপারভাইজার নারায়ণ দেব সহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। 
মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক মেঘা জৈন বলেন, দেশের শিশুকন্যাদেরকে বাঁচানো এবং তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ ও শিক্ষিত করে তোলার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি চালু করার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। দশ বছর এই কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে শিশু কন্যাদের বিকাশের জন্য কাজ করছে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা শাসক গ্রামীণ জীবিকা মিশনের এই কর্মসূচির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন এই মিশন মূলত মহিলাদের আর তো সামাজিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। সেদিনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে মহিলারাও এই বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচি সম্পর্কে আরও বেশি করে অবগত হবেন। সবশেষে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যারা এদিনের এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে তারা যেন মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়ে সমাজের অন্যান্য মানুষদের কেও সচেতন করেন।
অতিরিক্ত জেলাশাসকসহ উপস্থিত অতিথিরা সবুজ পতাকা নেড়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। প্রায় ৫০ জন মহিলা স্কুটি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ