আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারী : বিজেপি কিষাণ মোর্চা কৃষক সম্মাননা রাজ্য জুড়ে অব্যাহত রয়েছে। তার অংশ হিসেবে শনিবার ধলাই জেলার কমলপুর মন্ডল ও আমবাসা মন্ডলে পৃথক পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই মন্ডলের প্রগতিশীল প্রবীণ কৃষককে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন ও কৃষকসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অনুষ্ঠানটি হয় কমলপুর মন্ডলের সামরাইছড়া ভিসি কমিউনিটি হলে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কিষান মোর্চা রাজ্য সভাপতি প্রদীপ বরন রায়, কিষান মোর্চা রাজ্য সহ-সভাপতি তথা খোয়াই জেলা প্রাক্তন সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলপুর বিধানসভার সম্মানিত বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমলপুর মন্ডল কিষান মোর্চার সভাপতি পিন্টু শর্মা। সভায় মন্ডলের আট জন প্রবীণ প্রগতিশীল কৃষককে মালা উত্তরীয় ও জলের কেইন উপহার দানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সভায় স্বাগত ভাষণ রাখেন কিষান মোর্চা কমলপুর মন্ডল সভাপতি পিন্টু শর্মা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিষান মোর্চা প্রদেশ সহ-সভাপতি জয়দেব দেববর্মা। কমলপুর বিধানসভার সম্মানিত বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব এবং কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ বরণ রায় প্রত্যেক বক্তা বিজেপি শাসনকালে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার কৃষকের জন্য যেসব ব্যবস্থা নিয়েছেন তার বিস্তৃত বর্ণনা করেন এবং বিগত সরকারের আমলে কৃষকরা যেভাবে বঞ্চিত ছিলেন তথ্য ভিত্তিক সেগুলি আলোচনা করেন। দ্বিতীয় কৃষক সম্মাননা সভাটি হয় আমবাসা মন্ডল এর ডাব বাড়ি স্কুল প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জলন করে সভার শুভ উদ্বোধন করেন কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ বরণ রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা জেলা বিজেপি সম্পাদক শ্রীলাল সিং হালাম, বিজেপি প্রদেশ সহ-সভাপতি জয়দেব দেববর্মা প্রমূখ সভায় সভাপতিত্ব করেন কিষান মোর্চা আমবাসা মন্ডল সভাপতি তপন দাস মহাশয়। বিশেষ অতিথির ভাষণে ধলাই জেলা বিজেপি সভাপতি শপতিরাম ত্রিপুরা প্রস্তাবিত বাজেটে গ্রাম গরিব ও কৃষকদের জন্য যে সকল প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে তার বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং বিজেপি শাসনকালে ত্রিপুরার গ্রাম ও কৃষকের যে উন্নতি হয়েছে তার
বর্ণনা করেন। প্রধান অতিথির ভাষণে কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় ২০১৮ সাল থেকে রাজ্য সরকার এবং ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকের জন্য যেসব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এবং এই পরিকল্পনাগুলিতে কৃষক কি কি ভাবে লাভবান হয়েছেন তার বিস্তৃত আলোচনা করেন। তিনি বলেন সরকার এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি ধান কৃষক থেকে বর্ধিত মূল্যে ক্রয় করেছেন ত্রিপুরার ২ লক্ষ ৬৫ হাজার কৃষক ১৮টি কিস্তির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৮৫০ কোটি টাকার উপর কিষান সম্মান নিধি সরাসরি কেন্দ্র সরকার থেকে লাভ করেছেন যারা আগরতলা নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কৃষকের জন্য কুমিরের মত
মায়া কান্না করছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছেন তাদের শাসনকালে কৃষক এক কেজি ধান সহায়ক মূল্যে সরকারের নিকট বিক্রি করতে পারেননি এবং কিষান সম্মান নিধি হিসাবে সেই সরকার কৃষককে একটি টাকা দেননি। এই হচ্ছে দুই সরকারের মধ্যে তফাৎ। আমবাসা মন্ডল কিষান সম্মাননা সভায় মালা ও উত্তরীয় প্রদান করে ৬ জন প্রগতিশীল কৃষক কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। উভয় সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
0 মন্তব্যসমূহ