Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্য থেকে কালিখাসা, হরিনারায়ণ ও ব্ল্যাক রাইস'র রপ্তানি কর্মসূচির সূচনা করলেন রতন নাথ



আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারী : সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খাবার-দাবারে অনেকটাই পরিবর্তন আসছে। রাজপ্রাইনিক সার এবং কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রীর পরিবর্তে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী গ্রহণের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের মধ্যে। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী শরীরের কোন ক্ষতি করে না এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তাই এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশ্ব জুড়ে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যের এক বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে। বিশ্বের এই বাজারে নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে কৃষকদের মধ্যে জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই প্রতিনিয়ত রাজ্যে জৈব পদ্ধতিতে চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী রাজ্যের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্য এমন কি বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার জৈব পদ্ধতিতে রাজ্যের উৎপাদিত কালিখাসা, হরিনারায়ণ এবং ব্ল্যাক রাইস ভিন রাজ্যের রপ্তানি করা হলো। এদিন রাজধানীর এডি নগর এলাকার পশ্চিম জেলার কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অফিস প্রাঙ্গনে সবুজ পতাকা নেড়ে এই তিন জাতের চালের আনুষ্ঠানিক রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করেন রাজ্যের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা ড. ফনি ভূষণ জমাতিয়া, রাজীব দেববর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। 
 আনুষ্ঠানিক সূচনার পর মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, রাজ্যের কৃষকরা দারুণভাবে লাভবান হবেন। ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ অর্গানিকস লিমিটেড, নতুন দিল্লি সর্বতোভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। গত মাসেই নয়া দিল্লির এই সংস্থার সঙ্গে রাজ্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের চুক্তি হয়। এদিন তিনি আরও বলেন, জৈব চাষ: মিশন অর্গানিক ভেলু চেইন ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্টার্ন রিজিওন উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে জৈব চাষের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের ডোনার মন্ত্রালয় “মিশন অর্গানিক ভেলু চেইন ডেভেলাপমেন্ট ফর নর্থ ইস্ট রিজিয়ন” প্রকল্পটি চালু করেন যা রাজ্যেও রূপায়িত হচ্ছে। রাজ্যে আরও ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর এলাকায় জৈব চাষ সম্প্রসারণের এর কাজ চলছে যার জন্য আরও নতুন ১৩টি এফ পি সি গঠণের জন্যও কাজ চলছে । তাছাড়া, ৫ টি সার্ভিস প্রোভাইডার যথা আইকোয়া, শীল বায়োটেক এবং সিমফেড, বায়োসার্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং প্রকৃতি অর্গানিক জৈব চাষে কৃষকদের সহায়তার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যে জৈব পদ্ধতিতে সুগন্ধি ধান, আনারস, গোল মরিচ, আদা, হলুদ, লঙ্কা, মিলেট , কালো চাল ইত্যাদি ফসলগুলির চাষাবাদ হচ্ছে। তাছাড়া, এখন পর্যন্ত জৈব চাষের মাধ্যমে ৩৭ মেঃ টন সুগন্ধি চালু, ১৩ মেঃ টন আদা, ৩১ মে. টন হলুদ , ৩৬২ মে: টন আনারস এবং ২০০০ কেজি বার্ডস আর চিল্লি রাজ্যে ও ভিনরাজ্যে বিক্রি করা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারী ২,০০০ কেজি বার্ড আই চিলি যা স্থানীয় ভাবে ধ্যান্যা মরিচ নামে পরিচিত তা রপ্তানি করা হয়েছে। এগুলি গোমতী, দক্ষিণ ও ধালাই জেলার কৃষকের দারা উৎপাদিত ফসল বাজারযাত করা হয়েছে যার মূল্য ১১ লক্ষ টাকা। এদিন ১,০০০ কেজি কালিখাসা চাল গোমতী জেলা থেকে , ১০০০ কেজি হরিনারায়ণ খোয়াই জেলা থেকে এবং ১০০০ কেজি কালো চাল দক্ষিণ জেলা থেকে বাজারযাত করা হচ্ছে যার মূল্য ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ