আগরতলা, ৫ ফেব্রুয়ারী: রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার রাজ্যিক উদ্যান এবং বাকিটা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের আধিকারিকরা যে কাজ করছেন তা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের। অভিমত ত্রিপুরা বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির সদস্যদের। এই গবেষণা কেন্দ্রের কাজ থেকে তারা প্রশংসা করেন।
ত্রিপুরা বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির তিন জন সদস্য তিন জন বিধায়কসহ এক প্রতিনিধি দল বুধবার রাজধানী আগরতলার একাধিক কৃষি এবং উদ্যান গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এই টিমে রয়েছেন বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিধায়ক শৈলেন্দ্র নাথ ও বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
এদিন প্রথমে তারা যান রাজধানীর এডি নগর এলাকার রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে, এরপর তারা যান ডুকলি এলাকার উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের বাগিচায়। তারপর তারা যান নাগিছড়া এলাকার রাজ্যিক উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রে। এখানে পৌঁছলে এই কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ তাদের রিশা ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে অতিথিদের হাতে তোলেদেন তাদের মাঠে উৎপাদিত স্টোবেরির প্যাকেট, মিয়াজাকি আমের চারা ও একটি কফিপট উপহার হিসেবে তোলে দেন।
এরপর এই কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ তাদের গবেষণা কেন্দ্রের কাজ কর্মের নানা তথ্য পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তোলে ধরেন। সেই সঙ্গে গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন কাজের একটি ছোট প্রদর্শনীও দেখেন।
এরপর তারা রাজ্যের একমাত্র টিস্যু গবেষণা কেন্দ্রের ল্যাব ঘুরে দেখেন। এরপর তারা যান অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষের সেডে, সেখানে তারা দেখেন কিভাবে মাটি ছাড়াই ধাপে ধাপে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ হচ্ছে। সব শেষে তারা যান টি পি এস পদ্ধতিতে আলুর বীজ উৎপাদন করার প্লটে। তারা সবচেয়ে বেশি খুশি হন এটা জেনে যে দেশের মধ্যে এটি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে আলোর দানা বীজ উৎপাদন করা হয় এবং অতি সামান্য মূল্যে সামান্য পরিমাণ বীজের মধ্য দিয়ে বিশাল পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করা সম্ভব। পাশাপাশি তারা রাজ্যে নিয়ে আসা নতুন প্রযুক্তির এআরসি আলু চাষের নানা বিষয় গভীর মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেন। সেই সঙ্গে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করে চাষীরা এত ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদন করছেন শুনে তারা বিস্মিত হন। তাই তারা জানতে চান রাজ্যের কোন কোন জায়গায় বিশেষ করে তাদের নিজ নিজ বিধানসভা এলাকায় এই পদ্ধতিতে চাষিরা আলু চাষ করছেন কিনা। তখন ডক্টর রাজীব ঘোষ তাদের জানান যে রাজ্যের আটটি জেলাতেই এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হচ্ছে যার সুফল চাষিরা পাচ্ছেন। সেখানে তারা গবেষকদের কাজ দেখে খুশী ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে রাজ্যে এমন একটি উদ্যান গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে ও তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের কাজ করছেন দেখে সকল আধিকারিক ও গবেষকদের ধন্যবাদ জানান। এখান থেকে বেরিয়ে তারা লেম্বুছড়া সহ আরো কয়েকটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
0 মন্তব্যসমূহ