আগরতলা, ১২ মার্চ: ত্রিপুরার বন ও বণ্যপ্রাণীকুলকে ভিত্তি করে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা কাজে লাগাতে হবে। আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে বন দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্য বন্যপ্রাণী পর্ষদের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে রাজ্যের পর্যটনকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বনজ সম্পদ ও রাজ্যে লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে অবস্থিত জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্যগুলি সম্পর্কে পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য রাজ্যে একটি এলিফ্যান্ট সাফারি শুরু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই ধরণের উদ্যোগের ফলে বিশেষ করে জনজাতি এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনি তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নও ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রাজ্যের সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন বসতি এলাকায় বন্য হাতির উপদ্রব রোধে, বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সংঘাত এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া হাতির খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে লুপ্তপ্রায় শকুনের অস্তিত্ব বিলোপের কারণ সন্ধানে বিশদভাবে সমীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
সভায় বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অভয়ারণ্যগুলির উদ্ভাবনী চিন্তাধারা রাজ্যের অভয়ারণ্যগুলিতে বাস্তবায়িত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় বন দপ্তরের প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক আর কে সামাল সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে বনদপ্তরের বিভিন্ন গৃহীত উদ্যোগ এবং কর্মসূচির উপর বিস্তারিত তুলে তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও সভায় বিধায়ক মইলায়ু মগ, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক মানব দেববর্মা, মুখ্য সচিব জে. কে. সিনহা সহ বন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং রাজ্য বন্য প্রাণী পর্ষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ