আগরতলা, ১০ মার্চ: সরকার সব কিছু করে দিলেও খাবার উৎপাদন করা সম্ভব তার জন্য কৃষকদের উপর নির্ভর করতে হয়। সোমবার উত্তর জেলার যুবরাজনগর কৃষি মহকুমার অধীনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এদিন যুবরাজনগর কৃষি মহকুমার উদ্যোগে মধুবন নামের কিছু স্ব সহায়ক গোষ্ঠীর উৎপাদিত অর্গানিক মধুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ, পাশাপাশি এদিন তিনি এ আর সি পদ্ধতিচাষ করা আলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠানেও মিলিত হন।
ত্রিপুরা রাজ্যকে আলু চাষের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে আগরতলার পার্শবর্তী নাগিছরা এলাকার রাজ্যিক উদ্যান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে আলু চাষ চাষের আধুনিক এ আর সি পদ্ধতিতে রাজ্যের আটটি জেলাতে গত দুই বছর ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতে এই পদ্ধতিতে আলু চাষ শুরু হয়েছে, উত্তর জেলার অন্তর্গত যুব রাজনগর কৃষি মহকুমাতেও এই পদ্ধতিতে আলু চাষ করা হয় এবং সোমবার এই আলুর ফসল সংগ্রহের মাঠ দিবস কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী। তিনি মাঠে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাম গরিব এবং কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা, ধন্যবাদ সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ কর। কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হলে সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। তাই সরকার কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন টাকা থাকলেও যদি কৃতজ্ঞ থাক না করে তাহলে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই সরকারের মত প্রতিটি মানুষকে কৃষকদের অবস্থার উন্নতির জন্য এবং তাদের কাজের প্রতি সম্মান জানানো উচিত। কৃষকরা হচ্ছে প্রধান শক্তি, তারা মাঠ থেকে সোনা ফলায় তাই সরকার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এইসঙ্গে তিনি আরো বলেন জেলা উৎপাদনে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। তাদেরকে আরো বেশি উৎপাদনশীল হতে হবে, উত্তর জেলায় কিছু উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে যা কিছু প্রয়োজন হবে তা পূরণ করা হবে। এদিন অনুষ্ঠানে কৃষক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি এদিন স্থানীয় যুব রাজনগর ও পার্শবর্তী এলাকার কৃষকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন প্রথমে মন্ত্রী যুবরাজনগর কৃষি মহকুমা অফিসে মধুবন নামে একটি সহ সহায়ক গোষ্ঠীর উৎপাদিত অর্গানিক মধুর ব্র্যান্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার আগ্রহী চাষীদের মধ্যে মধুর বাক্স বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের মন্ত্রী জানান মধু আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান একটি সামগ্রী, তাই অর্গানিক পদ্ধতিতে মধু চাষের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে দপ্তরের তরফে। শুধু এখানেই শেষ নয় মধু চাষের সঙ্গে যুক্ত চাষীদের উৎপাদিত সামগ্রী জাতের ত্রিপুরার বাইরেও বিপন্ন করা যায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি ধর্মনগর বাজারে এই গোষ্ঠীর মধু বিক্রির জন্য একটি স্টল দেওয়ার ক্ষেত্রে দপ্তর সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
দিনের এই দুটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড ফনি ভূষণ জমাতিয়া, উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা দীপক দাস, ত্রিপুরার ফারমার্স ক্লাবের সভাপতি অসিত বরণ রায়, উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ সহ অন্যান্যরা।
0 মন্তব্যসমূহ