আগরতলা, ১৩ মার্চ : কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য ভারত সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তাই একদিকে যেমন কৃষি কাজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে তেমনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ-বাসের বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ত্রিপুরায় জীবিকা এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাষাবাদ ও শস্যের উন্নতি বিষয়ে আইসিএআর এর উদ্যোগে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে শুরু হল তিন দিনের কর্মশালা। বৃহস্পতিবার রাজ্য ভিত্তিক কর্মশালা শুরু হয়েছে। এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ত্রিপুরা রাজ্য শাখার প্রধান ড. বি ইউ চৌধুরী, প্রাণি সম্পদ এবং বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, ত্রিপুরা সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড ফনি ভূষণ জমাতিয়া, উদ্যান এবং বাগিচা ফসল দপ্তরের অধিকর্তা দীপক দাস , রাজধানীর অরুন্ধতীনগর এলাকার স্টেট এগ্রিকালচার রিচার্জ স্টেশনের প্রধান জয়েন্ট ডিরেক্টর ড. উত্তম সাহা সহ অন্যান্যরা।
তিনদিন ব্যাপি কৃষি ভিত্তিক এই কর্মশালায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা সামিল হয়েছে। এই কর্মশালাটি ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ত্রিপুরা রাজ্য শাখা এবং পশ্চিম জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কর্মশালার পাশাপাশি প্রজ্ঞা ভবনের কনফারেন্স হলে সামনে
অনুষ্ঠানে আইসিএআর ত্রিপুরা শাখার প্রধান বি ইউ চৌধুরী জানান, ২২ থেকে ২৩ ধরনের ধান আইসিএআর থেকে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এইসব প্রজাতির বীজ ব্যবহার করায় ধানের উৎপাদন দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে। চাষিদের এনিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় কৃষি গবেষণা পর্ষদ (আইসিএআর) আয়োজিত এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লুর উপস্থিত থাকার কথা ছিল, বিশেষ কোনো কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি তবে তার লিখিত শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনানো হয়। একটি প্রদর্শনেরও আয়োজন করা হয়েছে। এখানে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ফল সবজি সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদর্শনী হচ্ছে। ত্রিপুরা স্টেট অর্গানিক ফার্মিং ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীর তরফে এই প্রদর্শনীতে রাজ্যে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের অর্গানিক ফল সবজি সহ কৃষিজাত সামগ্রী একটি স্টল চালু করা হয়েছে। এই স্টলে সকলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
0 মন্তব্যসমূহ