আগরতলা, ২৬ মার্চ: আজ বাংলাদেশের ৫৫-তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল ভাই ও বোনেদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্যের পর্যটন, পরিবহন এবং খাদ্য ও জন সংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বুধবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদেশের বিভিন্ন রাজ্যের অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন সহকারী হাইকমিশন এবং ডেপুটি হাই কমিশনে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে। অন্যান্য জায়গার সঙ্গে সংগতি রেখে এদিন আগরতলার বাংলাদেশ সরকারি হাই কমিশনের উদ্যোগেও দিনটি উদযাপন। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথাগুলো বলেন। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ লক্ষ অমর শহীদ ও তাঁদের পরিবার পরিজনদের। শ্রদ্ধা জানাই আরও অসংখ্য ভাই বোনেদের যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিলো এই স্বাধীনতা।
ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতকে বিশেষ করে ত্রিপুরাকে বাদ দিয়ে কল্পনা করা যায় না, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মধুর হোক, আরও সুদৃঢ় হোক, এই প্রার্থনা করি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস মূলত দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকালে প্রথম পর্বে, বাংলাদেশের দুতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। তারপর মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের স্মরণে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পর মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। তার পর রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পাঠানো লিখিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় ও বিশেষ ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন আগরতলার দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান এস এম আলমাস হোসেনসহ অন্যান্যরা।
0 মন্তব্যসমূহ