তিনি আরো বলেন, এদিন কংগ্রেস রাজধানীতে তাদের জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। তার জবাবে তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে ১৭,৬৪৫ জনের চাকুরী হয়েছে। সেই পদগুলির মধ্যে কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ নেই। স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমেই এই চাকুরীগুলি দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু কংগ্রেস আমলে চাকুরীর নামে দুর্নীতি করা হয়েছে। তথ্য সহ উদাহরন দিতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ১৯৯০ সালে টিসিএস এবং টিপিএস পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছিল। তখন বিয়েতে উপহার হিসেবে চাকুরীর অফার দেওয়া হতো। সেই আমলে নেতা মন্ত্রীদের পকেটে থাকতো এই চাকুরীর অফার।
এছাড়াও সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের মধ্যে গোপন সম্পর্ক রয়েছে বলে জানান নবেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সেই আমলে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের মধ্যে লেনদেন ভাগ বাটোয়ারা চলত। এধরনের একাধিক ঘটনা রয়েছে। তিনি ১৯৯৩ সালের রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিবরণ তুলে এনে বলেন, ১৯৯৩ সালে নির্বাচনের আগে পুরসভা ভাংচুর, পঞ্চায়েত ভাঙচুর, খাদ্য কেলেঙ্কারি, ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তক কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লোপাট আরো বহু ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর কথা মানুষ ভুলে যায়নি।
কংগ্রেসের সময়কালে এত দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে, কিন্তু বিজেপির সরকারের উন্নতিকে কালিমালিপ্ত করার জন্যেই কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। বিজেপি আমলে যুবকদের চাকুরী হচ্ছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে। কিন্তু বাম ও কংগ্রেসের আমলগুলিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ছিলনা বললেই চলে। অপহরণ, সন্ত্রাস এগুলি তখন নিত্যদিনের বিষয় ছিল। আন্ত্রিক, ম্যালেরিয়ায় মানুষের মৃত্যু হত। অনাহারে অর্ধাহারে মানুষের মৃত্যু হত। কিন্তু এগুলো এখন অতীত বলেও জানান নবেন্দু ভট্টাচার্য। বিজেপির কাজকর্ম দেখে ঘাবড়ে গেছে কংগ্রেস। তাই মনুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। কিন্তু মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। বিজেপিতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছেন বলেও জানান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পদের বিজেপি মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সুনীত সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ