Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যের তিনটি জায়গায় গড়ে তোলা হবে স্যাটেলাইট টাউনশিপ: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১১ মার্চ: অফিসার ও কর্মচারীরা হচ্ছেন যেকোন রাজ্যের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে নজর রাখতে হবে। এতে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক গতি আসবে। 
                                মঙ্গলবার গোমতী জেলার উদয়পুরের রাজর্ষি টাউন হলে আয়োজিত চিফ সেক্রেটারিদের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। চারটি জেলা নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 
                               সেমিনারে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, অফিসার ও কর্মচারীরা হচ্ছেন যেকোন রাজ্য বা দেশের অন্যতম চালিকাশক্তি। তাদের ছাড়া কোন রাজ্য বা জেলা বা কোন দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। আমি আমাদের দেশে সমবায় ফেডারেলিজমকে শক্তিশালী করার চেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মোদি কীভাবে দেশের বিকাশ করবেন সে সম্পর্কে সবসময় ভাবেন। তিনি পরামর্শ দেন এবং আধিকারিকগণ সেটা বাস্তবায়ন করেন। আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি। মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনের সময়, আমি আমাদের 'আমার সরকার' ওয়েব পোর্টাল বিষয়টি উত্থাপন করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের এই প্রয়াসের প্রশংসা করেছিলেন।  
                         মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় নিজের ঢাক নিজেকে পেটাতে হয়। যেমন উড়িষ্যা থেকে যারা আসেন, তারা জয় জগন্নাথ বলেন। সেক্ষেত্রে আমরা কেন বলবো না - জয় ত্রিপুরেশ্বরী। এতে ত্রিপুরায় একান্ন পীঠের একটা ধর্মীয় তীর্থস্থান থাকার মতো বিষয়টিও প্রচার হয়ে যায়। আর পর্যটকদের আকর্ষণও বেড়ে যাবে। সম্মেলনে ডাঃ সাহা বলেন, মুখ্যসচিবদের সম্মেলনে উৎপাদন, পরিষেবা, রুরাল নন ফার্ম খাত, নগর উন্নয়ন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং বৃত্তাকার অর্থনীতি সহ ছয়টি বিষয়কে জোর দেওয়া হয়েছিল।  
                                    মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি নিয়ে সম্মেলনে ব্যাপক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বনির্ভর গ্রুপের সংখ্যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি এগুলির গুণমান এবং উৎপাদনও প্রয়োজন। ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্ট নিয়ে আটটি জেলার মধ্যে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের প্রচুর প্রতিভা রয়েছে এবং আমাদের রাজ্যকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। আধিকারিক এবং কর্মচারীদের অবশ্যই জনগণের জন্য কাজ করতে হবে এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করতে হবে যাতে তাদের চিরকাল স্মরণ করে মানুষ। আমরা ই-অফিস সিস্টেম বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেছি, যা ত্রিপুরাকে দেশের একমাত্র রাজ্য হিসেবে তৈরি করেছে। আমরা একটি পারফর্মিং স্টেট থেকে একটি ফ্রন্ট রানার স্টেট হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছি।
                                    সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার জিএসডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখার জন্য একটি সিঙ্গেল উইন্ডো পোর্টাল চালু করেছি। আমাদের অবশ্যই খুবই ভালোভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, বিশেষত পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে। এক্ষেত্রে আরও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও আমাদের অবশ্যই একটি এফোর্ডেবল হাউজিং পলিসির দিকে নজর দিতে হবে। খুব সহসাই রাজ্যের তিনটি জায়গায় স্যাটেলাইট টাউনশিপ স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের অবশ্যই আয় উপার্জনের উপায়গুলি অন্বেষণ করতে হবে।  
                                  এদিন এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, পূর্ত ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কে শশী কুমার, জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার, জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, জেলাশাসক স্মিতা মল, পুলিশ সুপার নমিত পাঠক সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ