আগরতলা, ১২ মার্চ: বুধবার দক্ষিণ জেলার বকাফা কৃষি মহকুমার অন্তর্গত বেতাগা গ্রাম পঞ্চায়েতের আলু চাষী কমল দেবনাথ'র মাঠের এপিকাল রুটেট কাটিং তথা এআরসির আলু চারা থেকে উৎপন্ন আলু তোলা হয়। কমল দেবনাথ এবছর রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের টিস্যু কালচার এআরসির দুই জাতের চারা নিয়ে ছিলেন, এই জাত গুলি হল কুফরী সঙ্গম এবং কুফরি মোহন। তাকে যথাক্রমে ৫০০ টি এবং ৯৪৬ টি চারা বিতরণ করা হয়। আড়াই গন্ডা জমতে এই দুই জাতের চারা লাগানোর ৭২ দিনের মাথায় মাঠ থেকে আলু সংগ্রহ করেন। ফসল সংগ্রহের সময় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলুর উৎপাদন দেখে রীতিমত উপস্থিত সকলের চক্ষু চড়ক গাছ, মাত্র ২৫ বর্গ মিটার জায়গা থেকে সঙ্গম জাতের আলু ১২৫ কেজি উৎপাদন হয়েছে, এর গড় উৎপাদনশীলতা দাঁড়ায় হেক্টর পিছু ৫২.২মেট্রিক টন। এক একটি আলু গাছ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টি আলু এবং ঘরে ২২ টি আলু প্রতিটি গাছ থেকে পাওয়া যায়।
অপরদিকে মোহন জাতের আলু পঁচিশ বর্গ মিটার জায়গা থেকে ১১২ কেজি পাওয়া গিয়েছে। এর গড় উৎপাদনশীলতা ৪৪.৮ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টর। মহান জাতের আলু গাছে সর্বোচ্চ পনেরোটি আলু এবং গড়ে প্রতিটি কাছে বারোটি করে আলুর ফলন হয়েছে। কৃষক কমল দেবনাথ আলুর এই উৎপাদনশীলতা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন। আগামী বছর দপ্তর থেকে যেন তাকে আরো বেশি পরিমাণে এআরসি জাতের আলু চারা দেওয়া হয় এই আহবান রাখেন।
এখানে উল্লেখ্য যে রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ রাজীব ঘোষ এআরসি আলু চাষের পদ্ধতিকে রাজ্যব্যাপী ছড়িয়ে দিতে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যিক উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের সহ-অধিকর্তা অরিন মজুমদার এআরসির নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োজিত আছেন এবং এই কার্যক্রমকে সফল করার জন্য তিনি রাজ্যের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়মিতভাবে মাঠে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তিনি এবং তার টিম প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাঠে ঘুরে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। গোটা টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবে এখন এই সাফল্য আসছে, সেই সঙ্গে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে।
0 মন্তব্যসমূহ