যুব সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে বামেরা চেষ্টা করছে : সুশান্ত দেব

আগরতলা, ৮ এপ্রিল: ত্রিপুরা রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য যে সরকার কাজ করছে, তা হচ্ছে বর্তমান সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ১৬ হাজার চারশো একান্ন জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাই তাদের চাকরি নিয়ে একটিও অভিযোগ নেই। এই দাবি বিধায়ক তথা ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুশান্ত দেবের। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এই দাবি করেন। 

 সম্প্রতি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বামফ্রন্ট সমর্থিত ২ যুব সংগঠনের তরফে যৌথভাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করা হয় বর্তমান সরকার বেকার যুবক-যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এর বিরুদ্ধে তারা রাজ্যব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তুলবেন বলেও জানান। 

 এই অভিযোগের পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সুশান্ত দেব বললেন, বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বেকারদের চাকরিসহ কর্মসংস্থানের জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। বিভিন্ন দপ্তরের স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে চাকরি প্রদানের পাশাপাশি ৯৬ টি চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই চাকরি মেলার মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা তাদের দক্ষতা অনুসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রয়োজন অনুসারে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। 

 তিনি আরো বলেন, বাম যুব সংগঠন অসত্য তথ্য পরিবেশন করে রাজ্যের যুবকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ। সেইসঙ্গে তিনি তথ্য তুলে দিয়ে জানান পূর্বতন বাম আমলে রাজ্যে চাকরি দেওয়ার নাম করে কতবার বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছে এবং কতবার তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান ২০০২ সালে এবং ২০০৮ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও চাকরি দেওয়া হয়নি। ২০১০ সালে চাকরি দিলেও তা উচ্চ আদালতের রায় বাতিল হয়ে যায়। মূলত তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই চাকরিগুলো দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে চাকরি দেওয়া নিয়ে কারো কোন অভিযোগ নেই বলেও জানান তিনি। বর্তমান সরকার সব সময় যুব সম্প্রদায়ের সুবিধার কথা চিন্তা করে কাজ করছে। এক্ষেত্রে কোন দলীয় রঙ দেখা হচ্ছে না বলেও জানান। 

 এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সম্পাদক রানা ঘোষ এবং প্রদেশ মুখপাত্র অম্লান ঘোষ।